সাইদুর রহমান আকাশ, ভ্রাম্মমান প্রতিনিধি : আশাশুনি উপজেলার শোভনালি ইউনিয়নের গোডারা গ্রামে গত ১০ জুন কলেজ পড়ুয়া ছাত্র মোস্তাকিমের মৃত্যু নিয়ে দ্রুবজাল সৃষ্টি হয়েছে।এলাকাবাসীর দাবি তাকে হত্যা করা হয়েছে।আজ সকাল ১০ টায় চম্পাফুল কালিবাড়ি বাজারে এলাকাবাসী তার লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন।
এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায় ঘটনার দিন সন্ধ্যায় মোস্তাকিম ও তার পিতা আব্দুর রাজ্জাক পানি সেচের কাজে ঘেরে যান।রাত অনুমান নয়টার দিকে পিতা আব্দুর রাজ্জাকের ডাক চিৎকার শুনে এলাকাবাসী ঘটনা স্থানে গিয়ে মোস্তাকিমকে মৃত্যু অবস্থায় মেশিনের পড়ে থাকতে দেখেন।পরবর্তীতে তাকে উদ্ধার করে পরের দিন সকালে তড়িঘড়ি করে দাফন করা হয়।
এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় নানান গুঞ্জণ ও ধ্রুবজাল সৃষ্টি হয়েছে।জানা যায় মোস্তাকিমের মায়ের মৃত্যুর পর পিতা আর সৎ মা প্রায় তাকে শারিরীক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করে আসছে।প্রায় তাকে মারধর করে থাকে।
মোস্তাকিম এর চাচাতো ভাই গোলাম রসুল জানান, মৃত্যুর ২০ থেকে ২৫ দিন আগে তার সাথে বলে গেছে। ভাই আমার যদি স্বাভাবিক ভাবে মৃত্যু হয়। তাও আমাকে ময়না তদন্ত করবি। দেখবি আমাকে খুব তাড়াতাড়ি মেরে ফেলা হবে।
এলাকাবাসী তাদের বক্তব্যে বলেন,তিন ইঞ্চি মেশিনে কেউ মরে না।তাকে হত্যা করা হয়েছে।তার মাথায় বড় একটা আঘাতের চিহ্ন ছিলো।আমরা তার মৃত্যু মেনে নিতে পারছি না।তার লাশ কবর থেকে উঠিয়ে ময়নাতদন্ত করা হোক।
মুস্তাকিন হত্যার তদন্ত জন্য তাড়াতাড়ি হয় এর জন্য দাবি করেন সরকারের কাছে আশা শুনি থানার সর্বস্তরের মানুষ ।