বিশেষ প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রাম জেলার পটিয়ায় হজরত আকবর শাহ (রহঃ) ওয়াকফ এস্টেট পরিচালনাধীন উপজেলার জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের পাইরোল গ্রামের হজরত সৈয়াদ আকবর শাহ (রহঃ) কমপ্লেক্সের অধীনে পরিচালিত হেফজখানা, এতিমখানা ও ফোরকানিয়া মাদরাসা এ অঞ্চলে ইসলামি শিক্ষার প্রচার-প্রসারে পবিত্র কোরআন ও হাদিসের আলোকে এক অনন্য উজ্জ্বল বাতিঘরের ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
বহু বছর ধরে পাইরোল গ্রামে আধ্যাত্মিক সাধক হজরত সৈয়দ আকবর শাহ (রহঃ) পবিত্র মাজার শরীফটি প্রতিষ্ঠিত। ১৯৭৫ সালের আরো বহু বছর আগে থেকে মরহুম আলী হোসেন এ মাজার শরীফের পবিত্র বার্ষিক ওরশ শরীফ শুরু করেন। এ মাজার শরীফে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ তাদের মন বাসনা পুরনে জেয়ারত করেন এবং অনুদান প্রদান করেন। মাজার শরীফটি একটি ওয়াকফভুক্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত। এ প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ সরকারের ওয়াকফ প্রশাসকের নির্দেশনা মেনে পরিচালিত। এর মোতোয়াল্লী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মরহুম আলী হোসেন ফকিরের সুযোগ্য সন্তান মৌ নজরুল ইসলাম সাদা। তার সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, আমার পূর্ব পুরুষ বিশেষ করে আমার পিতা মরহুম আলী হোসেন এ মাজার শরীফটি যুগ যুগ ধরে দেখভাল করে এসেছে। আমি ইসিভুক্ত মতোয়াল্লী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে এলাকার শিক্ষানুরাগী ও দানশীল গুণীজনদের সাথে নিয়ে দৃষ্টি নন্দন মাজার ও কমপ্লেক্স করার উদ্যোগ গ্রহণ করি। এছাড়াও এতে আধ্যাত্মিক সাধক হজরত সৈয়্যদ আকবর শাহ (রহঃ) হাজার হাজার ভক্ত অনুরক্ত ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ নানা ভাবে সহযোগিতা প্রদান করে এ মহান অলির নজরে কেরাম অর্জনে সচেষ্ট ছিল। আমি তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করে বলতে চাই, আপনাদের অকৃত্রিম ভালোবাসা ও সহযোগিতায় আমাদের কমপ্লেক্সের আওতাধীন হেফজখানা, এতিমখানা ও ফোরকানিয়া মাদরাসা আজ এ অঞ্চলের মানুষের মাঝে দ্বীনি শিক্ষার এক উজ্জ্বল বাড়িঘর হিসেবে অন্যন্য অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছে। এখানে আবাসিক ছাত্রছাত্রীদের জন্য ফ্রী থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। পর্যাপ্ত সংখ্যক শিক্ষক এখানে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। প্রতি বছর ওরশ শরীফ ও বার্ষিক সভায় দস্তারবন্দী ও পুরুস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে ছাত্র ছাত্রী ও অভিভাবকগণ সহ ভক্ত অনুরক্তরা অংশ গ্রহণ করে থাকে। আমাদের প্রত্যাশা রয়েছে চলমান এ মাদরাসা শিক্ষার কার্যক্রমকে আরো বড় পরিসরে সম্প্রসারণ করার। এজন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। আমরা শীঘ্রই মাদরাসা ভবনকে ৫ তলায় উন্নীতকরণের কাজে হাত দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। যার মধ্যে আছে সাচ্ছা আলেম তৈরির জন্য গুণগত মান সম্পন্ন শিক্ষার নিশ্চয়তা।
তিনি আরো বলেন, কমপ্লেক্সের পক্ষ থেকে গরিব দুস্থদের সহযোগিতা ছাড়া ও খতমে গাউছিয়া শরীফ ও মিলাদুন্নবী (সাঃ) আয়োজনের মাধ্যমে নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠান মালা এখানে বেশ ভাব গাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশে আয়োজন করা হয়ে থাকে। প্রতি বছর ১৮ মাঘ বার্ষিক ওরশ শরীফ অনুষ্ঠিত হয়। বর্তমানে কমপ্লেক্সের কার্যক্রম সম্প্রসারণের জন্য মাদরাসা ও মাজারের নামে জায়গা ক্রয় করা হয়েছে। আমরা আশাবাদী সব মহলের সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে এ অঞ্চলে ইসলামি শিক্ষার প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে আমাদের চলমান কার্যক্রম আরো বেগবান হবে। তিনি এ কমপ্লেক্সের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধির সহযোগিতা কামনা করেন।