রিয়াদ হোসেন: বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্ক (বেন) এর আয়োজনে ‘বাংলাদেশের উপকূলীয় পরিবেশ’ বিষয়ক বিশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১৪ জানুয়ারি) বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ ডিপার্টমেন্টে ‘বাংলাদেশের হাওর, নদী ও বিল : সমস্যা ও প্রতিকার’ বিষয়ের উপর এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
বাপা’র বরিশাল বিভাগের সমন্বয়ক রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে মূল বক্তব্য উপস্থাপনকালে বাপা’র খুলনা বিভাগের সমন্বয়ক নূর আলম শেখ বলেন, উপকূলজুড়ে পরিবেশ বিরোধী উন্নয়ন পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন কল-কারখানা গড়ে তোলার জন্য শিল্পপতিরাও এখন উপকূলকে বেঁচে নিচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের যে টাকা উপকূলে বরাদ্দ হচ্ছে তা অপ্রতুল। আর যা আসছে তাও নামমাত্র কাজ হচ্ছে, এর সঠিক ব্যবহার হচ্ছে না। এর ফলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উপকূলীয় ১৯ টি জেলায় বসবাসরত মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এসময় তিনি উপকূলীয় অঞ্চলে বাজেট বরাদ্দ বাড়াতে এবং উপকূলীয় উন্নয়ন বোর্ড গঠনের দাবি জানান।
আলোচনায় আরো উপস্থিত ছিলেন বাপা’র খুলনার আহবায়ক এ্যাড. বাবুল হাওলাদার, বাপা নেতা সৈয়দ মিজানুর রহমান, সাংবাদিক হাছিব সরদার, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা অপরাজিতার নির্বাহী পরিচালক কল্যাণী বিশ্বাস, বানিশান্তা কৃষি জমি রক্ষা সংগ্রাম কমিটির কৃষ্ণ পদ মন্ডলসহ উপকূলীয় জেলাগুলো থেকে আগত পরিবেশ আন্দোলনের নেতারা।
ভোলা জেলা সুজনের সভাপতি মোবাশ্বির উল্লাহ বলেন, ‘সরকার উপকূলীয় অঞ্চলের জন্য যেসব আইন প্রণয়ন করছে তার যথাযথ বাস্তবায়ন হচ্ছে না। স্থানীয় বিভিন্ন দলের ক্ষমতাবান নেতাকর্মীরা সেসব আইন মানছে না৷ এর ফলে উপকূল সুরক্ষায় সরকারের পদক্ষেপগুলো কোন কাজে আসছে না।’
সভাপতির বক্তব্যে রফিকুল আলম বলেন, ‘যেহেতু আমাদের নদ-নদীগুলোকে জীবন্ত সত্তা হিসেবে ঘোষনা করা হয়েছে সেহেতু এসব নদনদীরও আইডি কার্ড দেওয়া প্রয়োজন। যার ফলে এসব নদী কোথা থেকে উৎপত্তি, কত কিলোমিটার দৈঘ্যের সেগুলোও জানা যাবে। এসময় তিনি জনগনের ব্যক্তিগত হেলথ কার্ডের মতো নদীরও হেলথ কার্ড দেওয়া হলে নদী কি অবস্থায় আছে, কোথায় নদীর ভাঙণ হচ্ছে সেগুলোর খবরাখবর পেতে সুবিধা হবে।’