বিশেষ সংবাদদাতাঃ উপকূলীয় বন বিভাগ, চট্টগ্রাম এবং চট্টগ্রাম মৎস্য বন্দরের কতিপয় কর্মকর্তার অসাধু কর্মকাণ্ডের কারণে বিসমিল্লাহ স্টিল নামক একটি প্রতিষ্ঠান আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বিকেলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক অমিত আইচ লিখিত বক্তব্যে এই অভিযোগ করেন৷
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ১৬ মে ২০২৩ তারিখে উপকূলীয় বন বিভাগ, চট্টগ্রাম একটি অকেজো জাহাজ বিক্রয়ের জন্য জাতীয় এবং স্থানীয় পত্রিকায় দরপত্র আহ্বান করে, যেখানে বিসমিল্লাহ স্টিল সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে নির্বাচিত হয়।
১৯ জুলাই ২০২৩ তারিখে জাহাজটি অপসারণের অনুমতি দেওয়া হয় এবং ২৪ জুলাই থেকে কাজ শুরু করা হয়। কিন্তু ২৬ জুলাই চট্টগ্রাম মৎস্য বন্দর কর্তৃপক্ষ বাধা প্রদান করে, কারণ হিসেবে তারা জানায়, উপকূলীয় বন বিভাগ, চট্টগ্রাম তাদের ৬৬ লাখ ২ হাজার ৩০৬ টাকা পরিশোধ করেনি। ফলে জাহাজটির মালামাল সরিয়ে নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
অমিত আইচ অভিযোগ করেন, চট্টগ্রাম মৎস্য বন্দরের নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করেন এবং অর্থ সংগ্রহের চাপ দেন। এ বিষয়ে উপকূলীয় বন বিভাগকে বারবার অভিযোগ করেও সমাধান মেলেনি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের হস্তক্ষেপ কামনা করে দ্রুত সমাধান ও ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। একইসাথে ভবিষ্যতে সাধারণ জনগণের সাথে প্রতারণা রোধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।