শাহরিয়ার কবির, নিজস্ব প্রতিবেদক : খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ রশীদুজ্জামান বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, শিল্পায়ন ও আবাসনের ফলে প্রতিনিয়ত কৃষি জমি কমে যাচ্ছে। ফলে ভবিষ্যতে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ হবে। এ জন্য পরিকল্পিত ভাবে আমাদের সকল উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করতে হবে। পাশাপাশি কৃষি জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। এমপি রশীদুজ্জামান বলেন, নানা চ্যালেঞ্জ থাকা সত্তেও খাদ্যে সয়ংসম্পন্নতা অর্জন শেখ হাসিনা সরকারের অনেক বড় সাফল্য। সাফলের এ ধারাবাহিকতা ধরে রাখার জন্য আমাদের কৃষিতে আধুনিক, যান্ত্রিকিরণ ও স্মার্ট প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন কৃষি জমির সঠিক ব্যবহার করতে পারলে কোন মানুষের অভাব থাকবে না এবং কর্মসংস্থানেরও অভাব হবে না। এমপি রশীদুজ্জামান আরো বলেন, তাপমাত্রা বাড়ার কারণে উপকুলীয় অঞ্চলে লবণাক্ততা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে কৃষি ও ফসলী জমি লবণ পানি মুক্ত রাখতে হবে। লবণ সহিষ্ণু ফসলের উৎপাদন বাড়াতে হবে। প্রাকৃতিক উৎসের পানি সংরক্ষণ ও ভ‚গর্ভস্থ পানি ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ও ফসলের বহুমুখী উৎপাদন করতে হবে। এ জন্য তিনি ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান। তিনি বুধবার সকালে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পাইকগাছা আয়োজিত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার ইকবাল মন্টু, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লিপিকা ঢালী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ অসীম কুমার দাস। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শেখ তোফায়েল আহম্মেদ তুহিন এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা এসএম মনিরুল হুদা, সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শাহজাহান আলী। উপস্থিত ছিলেন, সকল উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা, কৃষক প্রতিনিধি ও গণমাধ্যম ব্যক্তিবর্গ। অনুষ্ঠানে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে খরিপ-১/২০২৪-২৫ মৌসুমে প্রনোদনা কর্মসূচীর আওতায় পাট ফসল ও উফশী আউশ ধান উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের চাষাবাদের জন্য পাট বীজ প্রনোদনা কর্মসূচীর আওতায় ২শ জন কৃষককে বিনামূল্যে ১ কেজি করে পাট বীজ ও উফশী আউশ ধান প্রনোদনা কর্মসূচীর আওতায় ২শ জন কৃষককে ৫ কেজি করে ধান বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার প্রদান করা হয়।