শফিকুল ইসলাম, তালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার তালায় বাড়ীঘর ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে জমি দখলের পায়তারা শুরু করেছে প্রতিপক্ষরা। গত ৫ আগষ্ট দেশে সরকার পরিবর্তনের পর ১ সেপ্টেম্বর দুপুরে উপজেলার দক্ষিণ নলতা গ্রামের মৃত হানিফ আলি গাজীর ছেলে দৈনিক যশোর বার্তার তালা উপজেলা প্রতিনিধি জি এম খলিলুর রহমান লিথুর বাড়ীতে এই হামলা করে। এ ঘটনায় লিথু বাদী হয়ে তালা থানায় একটি এজাহার দাখিল করেছেন।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, সেপ্টেম্বর মাসের ১ তারিখে তার বাড়িতে হামলা করা হয়।
হামলাকারীরা হলেন, উপজেলার একই গ্রামের সোহরাব গাজীর ছেলে রাজু আহম্মেদ বাবু, মৃত আফতাব গাজীর ছেলে সোহরাব গাজী, মৃত সিরাজ শেখের ছেলে আজমীর হোসেন শেখ, আজমীর হোসেন শেখের ছেলে সাদ্দাম হোসেন, সোহরাব গাজীর ছেলে রিয়াজুল গাজী, ইন্তাজ শেখের ছেলে জাহাঙ্গীর শেখ, আবুল গাজীর ছেলে হারুন গাজী ও হারুন গাজীর ছেলে আবুল কালাম গাজীরা উক্ত ব্যাক্তির বাড়িতে হামলা চালিয়ে জমি দখলের পায়তারা চালায়। এজাহারটি তদন্তাধীন রয়ছে বলে জানা যায়।
এব্যাপারে জি এম খলিলুর রহমান লিথু জানান, ১৯৬০ সালে নলতা মৌজার জেএল নং ১৩৭, এস এ খতিয়ান নং ৬২, ১৪২, দাগ নং ৩৪২৫, ৩৫৫৮ ক্রয়কৃত ১৩৬ শতক জমি আমরা ৬২ সালের রেকর্ড এবং বর্তমান জরিপের রেকর্ড আমাদের নামে থাকায় আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগদখল করে আসছি। হঠাৎ ১ সেপ্টেম্বর আমাদের ভোগদখলীয় জমি দখলের পায়তারা চালায়। আমরা বাধা দিলে পরে আমাদের বসত বাড়িতে ঢুকে এলোপাথাড়ি ভাবে লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে ভাংচুর করে। এসময় আমার স্ত্রী রওশনারা বেগম ও ভাইয়ের স্ত্রী নাছিমা বেগম ঠেকাতে গেলে আমার স্ত্রীকে মারধর ও নাছিমাকে বিবস্ত্র করে লাঞ্চিত করে। আমাকেও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। পরে আমার বসত রুমের ভিতরে ঢুকে আমার মটরসাইকেল, ঘরের দরজা, জানালা ভেঙ্গে ফেলে এবং আমাদের উঠানে থাকা বিচুলির গাদায় আগুন লাগিয়ে দেয়। ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় বসাবসি করে মিমাংসা না হওয়ার এক পর্যায় আইনি ব্যবস্থা নিতে আমার একটু বিলম্ব হয়। এসময় জিএম খলিলুর রহমান লিথু তার বাড়ী ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ এর সুষ্ঠু বিচার দাবী করেন।
এঘটনার বিবাদী আজমীর হোসেন শেখ জানান, হামলা ভাংচুরের কোন ঘটনা ঘটেনি। আমি আমিন হিসাবে সেখানে মাপ জরিপ করতে গিয়েছিলাম। সেখানে আমার ম্যাপ ছিড়ে লাঞ্চিত করা হয়েছে। এছাড়াও আমাকে এবং আমার ছেলেকে আসামি করা হয়েছে।
তালা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোমিনুল ইসলাম জানান, আমার নিকট একটি এজাহার জমা দিয়েছে। সেটি তদন্তের জন্য খলিলনগর পুলিশ ক্যাম্পের আইসি শহিদুল ইসলামের উপর দায়িত্ব দিয়েছি। তদন্ত প্রতিবেদন পেলেই আইনগত ব্যবস্থা নিব।