শফিকুল ইসলাম, তালা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার তালা উপজেলা পরিষদের মধ্যে বিভিন্ন প্রকল্প দেখিয়ে প্রায় কোটি টাকা হরিলুটের অভিযোগ উঠেছে। তালার সুশীল সমাজ বলছে এই টাকার তিন ভাগের একভাগ কাজ না করেই টাকা গুলো বাটোয়ারা করা হয়েছে। তবে টাকা আত্মস্বাতের অভিযোগের তীরটি ছুড়ছেন সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা প্রকৌশলীর দিকে। তাদের যোগসাজসে কাজ না করেই বিল উত্তোলন করা হয়েছে এমনটি অভিযোগ তালার সুধী সমাজের।
উল্লেখিত প্রকল্প উপজেলা পরিষদের নন-গেজেটেড কোয়ার্টার-১ এবং ২ মেরামত ১০ লাখ টাকা, যেটি এখান থেকে দুই বছর আগেই পরিত্যাক্ত ঘোষনা করা হয়েছে। উপজেলা পরিষদের অভ্যন্তরে ড্রেন মেরামত ১০ লাখ টাকা, উপজেলা পরিষদের প্রবেশ গেটের অসমাপ্ত কাজ ঢালাই ৫ লাখ টাকা, উপজেলা পরিষদের অভ্যন্তরে মেইন গেট সংলগ্ন ড্রেন ও সিলাব নির্মাণ ১৮ লাখ টাকা, উপজেলা পরিষদের হলরুমে সজ্জাকরন ২ লাখ টাকা, উপজেলা পরিষদের হলরুমে ফ্লোরমেট সরবরাহ ২ লাখ টাকা, যাহা রেকসিন দিয়েই দায় সারা হয়েছে। উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে সাউন্ড সিস্টেম ৩ লাখ টাকা, উপজেলা পরিষদের নিচু জায়গা মাটি দিয়ে ভরাট করা ২ লাখ টাকা, উপজেলা পরিষদের গেজেটেড কোয়ার্টার থেকে শিল্পকলা পযর্ন্ত রাস্তা নির্মাণ ২ লাখ টাকা সহ আরো অনেক প্রকল্পের নামে হয়েছে পুকুর চুরি। এছাড়াও আরও অনেক প্রকল্প নামে বেনামে তৈরি করে করা হয়েছে বাটোয়ারা। যে সকল প্রকল্পগুলো আদেও আলোর মুখ দেখেনি।
এহেনও পুকুর চুরির বিষয়টি তালার সুশীল সমাজ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উদ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানান।
এব্যাপারে তালা উপজেলা নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম জানান, তালা উপজেলা পরিষদের ভিতরে এবং বাহিরে মিলে প্রায় শতাধিক প্রকল্প দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা লুপাট করেছে সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার। তারই দোসর উপজেলা প্রকৌশলী রথীন্দ্রনাথ হালদার এ সকল প্রকল্প তৈরি করে দিয়েছে এবং উপজেলা চেয়ারম্যান নিজে ঠিকাদারি করে এই দুইজন মিলে কোটি কোটি টাকা আত্মস্বাৎ করেছে। ইউএনও মহোদ্বয়ের সাথে এব্যাপারে কথা বলেছি বলে উপজেলা নাগরিক কমিটির এই নেতা জানান।
তালা উপজেলা প্রকৌশলী রথীন্দ্রনাথ হালদার জানান, আমাকে প্রকল্প তৈরি করতে বলেছে তাই আমি করেছি। তবে অনিয়ম হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন এই উপজেলা প্রকৌশলী।
তালা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার গত ৫ আগষ্ট দেশে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হওয়ার ফলে পালিয়ে থাকার কারনে তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ মোঃ রাসেল জানান, বিষয়টি আমি শুনছি এরং প্রকল্পগুলো খতিয়ে দেখব। যদি কোন অনিয়ম হলে অবশ্যই এর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।