নিজস্ব প্রতিনিধিঃ শুক্রবার ২০শে জানুয়ারী শুক্রবা সন্ধ্যায় উপজেলার মাগুরা ডাঙ্গা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এ দিন উপজেলা চাদকাটি গ্রামের মোঃ আবুল হোসেন মোড়লের মেয়ে সুরাইয়া ইয়াসমিন (১৬) প্রেমে পড়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে বিয়ের দাবীতে এসেছে প্রেমিক মোঃ বাদশার বাড়িতে।মোঃ বাদশা(২২) মাগুরা গ্রামের ইউপি সদস্য মোঃ ময়নুল ইসলাম এর ছেলে এবং সে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যয়নরত ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে।
সুত্র মতে জানা যায়, ৮ নং মাগুরা ইউনিয়নে ফায়েলা চাঁদকাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় দশম শ্রেণীর ছাত্রী, সুরাইয়া ইয়াসমিন (১৬) এর সাথে একই ইউনিয়নের মাগুরাডাঙ্গা গ্রামের ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ মইনুল ইসলাম এর ছেলে মোঃ বাদশার প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। গভীর প্রেমের সম্পর্কের জেরে উভয়ের মধ্যে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে বলে জানা গেছে।
ক্ষমতা যখন হাতের মুঠোয় ইউপি সদস্যের ছেলে বলে কথা, শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের পরেও বিয়ে করতে নারাজ বাদশা। দীর্ঘদিনের ভালোবাসার হার না মানা আকুতি সুরাইয়া আক্তার এর। তাইতো তিনি বিয়ের দাবীতে চলে এসেছে প্রেমিকের বাড়িতে।
ঘটনার খবর শুনে ঘটনা স্থলে সাংবাদিকদের ম্যানেজ করতে ময়নুল ইসলাম মেম্বার তৎপরতা শুরু করে ব্যার্থ হয়ে মেয়েকে নিজের পুত্রবধূ করতে বাল্যবিবাহের মতো অপরাধ করতে পরিকল্পনা করেন। কিন্তু বেশ রসিক জনতার খবরের প্রেক্ষিতে ঘটনা স্থলে তালা থানার পুলিশ। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মেয়েকে থানা পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে। বাদশা ও তার পিতা ময়নুল ইসলাম মেম্বার তখন পালাতক রয়েছে।
এ বিষয়ে তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি চৌধুরী রেজাউল করিম জানান ঘটনাস্থল থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।