শাহরিয়ার কবির, নিজস্ব প্রতিবেদক ।। পাইকগাছায় নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন শিরোনামে জাতীয়,আঞ্চলিক ও অনলাইন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন।
পাইকগাছার কপোতাক্ষ নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবাধে বালু ও মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে। ফলে হুমকির মুখে পড়েছে পাইকগাছা বোয়ালিয়া ব্রীজ সহ ৮ নং রাড়ুলী ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম। ব্রীজ সংলগ্ন এলাকা থেকে কপোতাক্ষ নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু ও মাটি উত্তোলন করে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা।
ভাটা দুটি বোয়ালিয়া ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় হওয়ায় নদী থেকে বালু উত্তোলন করলে ব্রীজ ধ্বসে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে অনেকটাই। আবার ভাটার পাশ্ববর্তী জেলে পাড়া সহ আশেপাশের এলাকায় প্রতি বছর কপোতাক্ষ নদের বাঁধ ভেঙে তলিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে।গত ১৯ সেপ্টেম্বরে ২০২৪ রাড়ুলী ইউনিয়নে কপোতাক্ষ নদের বেঁড়িবাধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করলে স্থানীয় দেড়শতাধিক লোকজন স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ মেরামতের কাজ করে।
১৫৯ নং সুন্দরবন আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এসএমএম ব্রিকস ও এসবি ব্রিকস নামের দু’টি ভাটায় সমান তালে বালু উত্তোলন করে হুমকির মুখে ফেলছে কয়েকটি গ্রাম। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় দুই প্রভাবশালী ব্যক্তি মিনারুল ইসলাম ও ডালিম সরদার সারা বছর কপোতাক্ষ নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করে। এদিকে বিদ্যালয় সংলগ্ন এভাটা হওয়ার কারণে বিদ্যালয়ে কমলমতি বাচ্চাদেরও হুমকির মুখে ফেলছে। যেমনটি হুমকির মুখে ফেলছে কয়েকটি গ্রাম। যেকোনো মুহূর্তে কপোতাক্ষ নদের বেঁড়িবাধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কথা জানতে চাইলে মিনারুল ইসলাম বলেন আমার নিজের জমি থেকে মাটি উত্তোলন করছি। আমার ক্রয়কৃত সম্পত্তি ভেঙে নদীতে চলে গেছে তাই ড্রেজার মেশিন বসিয়ে মাটি উত্তোলন করি। তিনি আরো বলেন অন্যান্য ভাটার মালিকরাও ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করে।আরেক ভাটা মালিক ডালিম সরদারের কাছে বালু উত্তোলন করছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন আমাদের ক্রয়কৃত সম্পত্তি থেকে বালু না মাটি উত্তোলন করছি।বালু হোক আর মাটি হোক ড্রেজার মেশিন বসিয়ে এসব উত্তোলন করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ জানাতে, তিনি বলেন আমার নিজের জমি থেকে উত্তোলন করি এটা কোন অপরাধ না।
উল্লেখ্য, গত ৯ অক্টোবরে কয়েকটি জাতীয় আঞ্চলিক ও অনলাইন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয় কিন্তু প্রশাসন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।এমনি ভাবে চলতে থাকলে পাইকগাছা রাড়ুলী ইউনিয়নে ভয়াবহ ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন এলাকার সচেতন মহল। দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার সচেতন মহল।