মোঃ আসাদুজ্জামান, কপিলমুনি প্রতিনিধি, খুলনা :
সদ্য সমাপ্ত গত ৯ জুন অনুষ্ঠিত পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কয়েকটি কেন্দ্রের ভোটের ফলাফল ও ভোটার উপস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন ধরণের তথ্য প্রচার হওয়ায় সাধারণ মানুষ পড়েছেন বিভ্রান্তির মধ্যে।এ ধরণের বিভ্রান্তিকর তথ্যে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।৯ জুন অনুষ্ঠিত নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হয়েছে দাবী করে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহেরা নাজনীন বলেন,ভোট কেন্দ্রের বাইরে দু’একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া প্রতিটি কেন্দ্রে নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে।কোথাও কারচুপি হওয়ার কোন সুযোগ নাই।নির্বাচন শেষে স্ব স্ব কেন্দ্রের প্রার্থীদের এজেন্টরা সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং অফিসারের নিকট থেকে রেজাল্ট সীট বুঝে নিয়েছে এ ক্ষেত্রে ফলাফল ও ভোটার উপস্থিতি নিয়ে বিভ্রান্ত হওয়ার কোন কারণ নাই।নির্বাচন পরবর্তী সময়ে অতি উৎসাহী কিছু ব্যক্তি কয়েকটি কেন্দ্রে ৮৩% এর বেশি ভোটার উপস্থিতি তুলে ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার করে। এতে সাধারণ মানুষের মাঝে এক ধরণের বিভ্রান্তি তৈরী হয়। প্রশ্নবিদ্ধ হয় সকলের প্রচেষ্টার ফসল সদ্য সমাপ্ত উপজেলা পরিষদ নির্বাচন।এমনকি নির্বাচনে পরাজিত মটর সাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ কামরুল হাসান টিপু নির্বাচনী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিজয়ী প্রার্থীর নিজ ইউনিয়ন কপিলমুনির কয়েকটি কেন্দ্রে কারচুপির অভিযোগ এনে সেখানে পুনরায় নির্বাচন দাবী করেন। এর ফলে নির্বাচনের কয়েকটি কেন্দ্রের ভোটার উপস্থিতি ও ফলাফল নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দেয়।অভিযোগ আনা কেন্দ্র গুলোর ভোটার উপস্থিতি ও ফলাফল তথ্যানুন্ধ্যান করতে গিয়ে দেখা যায় কপিলমুনি ইউনিয়নের কেআরআর মানিকতলা কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি ৮৪% বলে প্রচার করা হয়।কিন্তু তথ্য অনুন্ধ্যানে দেখা যায় উক্ত কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ৬১৩৮জন,ভোটার উপস্থিতি ২২২২ জন,যার শতকরা হার ৩৬.২০%।কপিলমুনি কেন্দ্রে বলা হয়েছে ৮০% ভোট পড়েছে। অথচ একেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ৫০৭৫ জন,ভোটার উপস্থিতি ২৪১২ জন,যা উপস্থিত হার অনুযায়ী ৪৭.৫২ %।হাউলি কেন্দ্রে মোট ভোটার ৩৭০৫ জন।প্রদেয় ভোট ১৩৮০ জন,যা শতকরা ৩৭.২০%।রেজাকপুর কেন্দ্রে মোট ভোটার ২৩৪৯, প্রদেয় ভোট ১১১৮টি, যা শতকরা ৪৭.৫৯%। নাবা কেন্দ্রে মোট ভোটার ২৭১১, প্রদেয় ভোট১২৯৫ ,যা শতকরা হার ৪৭.৭৬%।তথ্যানুন্ধ্যানে কোন কেন্দ্রে৫০% ভোট পড়েছে এমন তথ্য পাওয়া যায়নি।এদিকে নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তিকর অপপ্রচার বন্ধ এবং যাতে কেউ অপপ্রচারের মাধ্যমে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করতে না পারে তাদের বিরুদ্ধে সবাইকে সতর্ক থাকার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল।থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ ওবায়দুর রহমান বলেন,নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী খুবই তৎপর ছিল। ভোটে কোথাও কারচুপি হয়েছে কিংবা অস্বাভাবিক ভোট পড়েছে এসব অভিযোগ গুজব মাত্র।