রামপ্রসাদ কর্মকার, পাইকগাছা: খুলনার পাইকগাছায় ৫কন্যা ও নিজ স্ত্রীকে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করে ফাঁকি দিয়ে ছেলের নামে সমুদয় সম্পত্তি লিখে দেয়ায় পিতার লাশ দাফনে বাঁধা ৫মেয়ের। ওসির হস্তক্ষেপে লাশ দাফন করা হয়েছে। কন্যারা এদিকে একমাত্র ছেলে মামুন পিতার লাশ বাড়িতে রেখে স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে পালিয়েছে। উপজেলার ঘোষাল গ্রামের মৃত্যু সাকাত গাজীর ছেলে সওকত গাজী কিডনি জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার ভোর ৪ টায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায়। তার লাশ বুধবার সকাল ৮ টায় বাড়িতে নিয়ে আসে। সওকত গাজীর ১ ছেলে ৫ মেয়ে ও স্ত্রীকে রেখে গেছেন। সে অসুস্থ হলে তার ছেলে মামুন গাজী থাকাকালে সুকৌশলে সকলের অগচরে চুরি করে সকল সম্পত্তি লিখে নেয়। সওকাত গাজী পরবর্তীতে আবার অসুস্থ হলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে মারা যায়। লাশ বাড়িতে নিয়ে আসলে মামুন দাফন করার ব্যবস্থা করলে মামুনের ৫ বোন লাশ দাফনে বাঁধা দেয়। গোসলের সময় মৃত সওকত গাজীর হাতের বুড়ো আঙ্গুলে টিপ দেয়ার ছাপ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পুলিশ আসলে মামুন তার পরিবার নিয়ে কৌশলে পালিয়ে যায়। এ খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ওসির নজরে আসলে ওসি রফিকুল ইসলাম বৃহস্পতিবার দুপুরে হস্তক্ষেপে লাশ দাফন করা হয়। মৃত্যু সওকত গাজীর কন্যা শাহনাজ পারভিন, লাবনী আক্তার, লিপি আক্তার, মুন্নি আক্তার ময়না আক্তার জানান, আমরা ৫ বোনই বিবাহিত। আমার পিতা অসুস্থ হলে এ সুযোগে আমার ভাই আব্বার অসুস্থতার সময় আমাদেরকে ও মাতা রহিমা বেগমকে না জানিয়ে সুকৌশলে সমুদয় সম্পত্তি লিখে নিয়েছেন। ঘোষাল জামে মসজিদের ইমাম বেলাল হোসেন জানান, সাওকত গাজীর মৃত্যুর সংবাদ শুনে মঙ্গলবার বাদ জোহর জানাজার ঘোষনা দেয়া হয় কিন্তু মৃতের ৫ কন্যা এসে জনাজা এবং লাশ দাফনে বাঁধা দেয়ায় মুসল্লীসহ গ্রামবাসী সিদ্ধান্ত নেন যে মৃত্যু সওকত গাজী তার মেয়েদের হক নষ্ট করায় জানাযা পড়াবেন না। পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান,শরীক ফাঁকি দেয়ার কারনে মৃত সওকত গাজীর লাশ দাফন করতে দিচ্ছেনা কন্যারা। এমন সংবাদ পেয়ে সরেজমিনে এসে কন্যাদের ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং গ্রামবাসীদেরর সাথে কথা বলে জানাযা ও দাফনের ব্যবস্থা করেছি। বোনরা আইনগত ব্যবস্থার জন্য আমার কাছে আসলে তাদের আইনের মধ্যো থেকে সকল ধরণের সহযোগিতা করা হবে।