আব্দুল্লাহ আল মামুনঃ আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের সাতক্ষীরা-৩ আসনে এমপি প্রার্থী অধ্যাপক আ.ফ.ম রুহুল হকের নির্বাচনী শেষ জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনা না থাকলে বিদ্যুত, বছরের প্রথম দিন বই পাওয়া যেত না। আগামীদিনে নির্বাচিত হয়ে শিক্ষায় আমূল পরিবর্তন এনে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়বেন। উন্নয়নের প্রতীক মানে শেখ হাসিনা। কারণ আজ সারের জন্য আজ গুলি খেয়ে মরতে হয় না। বর্তমান সরকারের আমলে মানুষের বাড়িতে বাড়িতে সরকারি ভাতার সুবিধা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল। তারা কতজনের বাড়িতে ভাতা দিয়েছিল, তারা কতজনের বাড়ি বিদ্যুৎ দিয়েছিল। তারা কখনো দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পন্ন করতে চাইনি। তারা দেশেকে ভিক্ষুকের দেশ করতে চেয়েছিল। আমাদের সরকার তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে বেকার যুবকদের জন্য ঘরে বসে আয় করার সুযোগ করে দিয়েছে। উন্নয়ন যদি বলতে হয় সারাদিনে শেষ করা যাবে না। আমাদের জেলায় মেডিকেল কলেজ হয়েছে, চার লেনের রাস্তার পাশ করা হয়েছে। প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, আগামীদিনে রেললাইন হবে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিল পাশ হয়েছে। সাতক্ষীরায় রোবটিক্স বিশ্ববিদ্যালয় হবে, রিসার্স সেন্টার করা হবে। সাতক্ষীরায় অর্থনৈতিক জোন করা হবে। উন্নত ধরনের ফ্যাক্টরি করা হবে। এলাকার যুবক-যুবতীরা বেকার থাকবে না। তাই স্মার্ট বাংলাদেশে প্রবেশ করতে হলে নিজেদের তৈরি হতে হবে। আগামীর ভবিষ্যৎ প্রযুক্তি ভিত্তিক জীবনমানের উন্নয়ন ঘটাবে।
বিএনপির সমালোচনা করে বলেন, যারা স্বাধীনতার বিরোধীতা করেছিল তারা আবারও মাঠে নেমে নির্বাচনের বিরোধীতা করছে। যাদের জন্ম সন্ত্রাসের মাধ্যমে তারা কি করবে। সেটি কি ভুলে গেছেন। শেখ হাসিনাকে সেদিন দেশে আসতে দেয়নি। যারা হত্যায় জড়িত ছিল তাদের প্রমোশন দিয়েছিল। তৎকালীন সরকার তাদের কখনো যাতে বিচার হয় সেজন্য বিল পাশ করেছিল। সুতরাং আজ যারা বলে “কথা বলার অধিকার নেই, তারা তো ২১ আগষ্টে গ্রেনেট হামলা করেছিল। সেদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে ডাক্তাররা পালিয়ে গেছিল। কেসটি নথিভুক্ত করতে দেয়নি। এরাই বলে দেশ চালাবে। আপনারা সবাই সবকিছু জানেন। আমরা আমেরিকান সাহেবদের কোন কেয়ার করি না। আমাদের স্বাধীনতার সময় তারা বিরোধীতা করেছিল। যারা নির্বাচনে বিরোধীতা করছে, ভোটকেন্দ্রে বাঁধা দেওয়া অপরাধ। যারা ভোটকেন্দ্রে যেতে বাঁধা দেবে তাদেরকে আইনের আওতায় আনবেন। আমরা সকলকে নিয়ে নির্বাচনের কেন্দ্রে গিয়ে ভোট প্রদান করব। আমরা এই নির্বাচনকে উৎসবমুখর করে তুলব। আজকের এই সভায় দেখিয়ে দিয়েছে যে জনগন আমাদের সাথে আছেন।
সভায় ৫ম বারের ন্যায় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী করায় প্রধান মন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। আবারও নির্বাচিত হলে আপনার পাশে থেকে মানুষের জন্য কাজ করে যাব।বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারী) সাতক্ষীরা-৩ আসনের নলতা এএমআর কলেজ মাঠে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে নলতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আনিসুউজ্জামান খোকনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অধ্যাপক আ.ফ.ম রুহুল হক।
সভায় কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও তারালী ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল ইসলাম ছোট’র পরিচালনায় বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদক ডাঃ রোকেয়া সুলতানা, আ.ফ.ম রুহুল হকের পুত্র প্রকৌশলী জিয়াউল হক সুমন ও মেয়ে মেহজাবিন হক, কালিগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী, দেবহাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মুজিবর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, আশাশুনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শম্ভুচরন মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. শহিদুল ইসলাম পিন্টু, বরিশাল মেডিকেল কলেজের সাবেক ভিপি ডাঃ তারেক মেহেদী, রুহুল হকের জামাতা বাংলাদেশ মেডিকেলের অর্থপেডিক সার্জন ডাঃ কামরুজ্জামান, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র প্রভাষক ও রুহুল হকের পুত্রবধু আফনান আহমেদ, নাতি ফাইয়্যাজ জামান, নাতনি তানিশা জামান প্রমুখ।
অন্যান্যদের মধ্যে নলতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি তারিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন পাড়, জেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক শামিমা পারভীন রীতা, জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক সীমা সিদ্দিকী সহ বিভিন্ন পর্যয়ের নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটারগন উপস্থিত ছিলেন।
সম্পাদক: এস,কে রায়হান
ঠিকানাঃ প্রধান কার্যালয়ঃ নিরিবিলি বাজার, শাহপুর, তালা, সাতক্ষীরা। মোবাইল ০১৭১২-৯৯৫৮১৮ ইমেইল: somajchetona1122@gmail.com
somajchetona