কবির, কয়রা প্রতিনিধি : জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলীয় অঞ্চল কয়রায় পানির সংকট দীর্ঘদিনের। এই সংকট মোকাবেলায় স্থানীয় এমপি রশীদুজ্জামান এর প্রচেষ্টায় রবিবার উপজেলা পরিষদ মাঠে সকাল ১০ টায় উপকূলীয় অঞ্চলে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের আয়োজনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলি বিশ্বাসের সভাপতিত্বে উপসহকারী প্রকৌশলী ইসতিয়াক আহম্মেদ এর সঞ্চালনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক প্রদত্ত পানি সংরক্ষণের জন্য ১১৭০ টি পরিবারের মাঝে ৩ হাজার লিটারের জলাধার( পানির ট্যাংকি) বিতরণের কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি হিসাবে খুলনা-৬ সংসদ সদস্য মো. রশীদুজ্জামান। এসময় এমপি রশীদুজ্জামান এর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আমাদী ইউনিয়নের পাটুলিয়া গ্রামে মোট বসবাসত ৩৭ পরিবার সবাইকে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের জন্য ৩ হাজার লিটারের পানির ট্যাংকি বিতরণ করেন এমপি ৷ এসময় উপজেলার ৫১ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে ও ট্যাংকি বিতরণ করা হয়।
এসময় এমপি রশীদুজ্জামান বর্তমান সরকারের অভূতপূর্ব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে বলেন, উপকূলীয় এলাকা কয়রা লবণাক্ত প্রবণ এলাকা হওয়ায় সুপেয় খাবার পানির খুবই সংকট ছিল দীর্ঘদিনের। আমার নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী উপকূলীয় এই সকল জনগণকে এই সংকটের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এই অঞ্চলের মানুষের দুঃখের কথা বললে তিনি এই অঞ্চলের মানুষের জন্য তীব্র পানি সংকটের হাত থেকে রক্ষা করতে সকল ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। আশা করি এই অঞ্চলের মানুষ এবার দীর্ঘদিনের পানি সংকট থেকে মুক্ত হবেন। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্ব পৃথিবীর অন্যান্য বড় বড় দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সব ক্ষেতে বাংলাদেশ নিজেদের যোগ্যতার জানান দিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। তার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব আমাদের ছোট্ট এই দেশকে পৃথিবীর বুকে বার বার করেছে সম্মানিত।
তীব্র লবণাক্ততা ও ভূ-প্রকৃতির কারণে এ এলাকায় গভীর নলকূপ স্থাপন করা যায় না। ফলে এ অঞ্চলের মানুষ বিশুদ্ধ পানি এমনকি রান্নার পানির তীব্র সংকটে হাঁসফাঁস করেন। এ অবস্থায় পানি সংরক্ষণের ট্যাংকি পেয়ে পরিবার গুলো স্বস্তি প্রকাশ করার সাথে সাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও স্থানীয় এমপির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন৷
কয়রা উপজেলার আমাদী ইউনিয়নের পাটুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা রানী মন্ডল বলেন এখন বয়সের ভারে খুব বেশি চলাফেরা করতে পারেন না তিনি। তবে বেঁচে থাকার তাগিদে প্রতিদিন কয়েক কিলোমিটার হেঁটে খাবার পানি সংগ্রহ করতে হয় তাকে। রানী মন্ডল জানান, দিনে দু-তিনবার অনেক দূর হেঁটে পানি আনতে হয়। মাজায় আর পারে না বাবা। পানির পাত্র না থাকায় বৃষ্টির সময় পানি ধরে রাখতে পারিনি। এমপির দেয়া বিনামূলে পানির ট্যাংকটি পেয়ে আমার খুব উপকার হবে। কষ্ট অনেকটা কমবে।রানী মন্ডলের মতো এমন অনুভূতি প্রায় সব উপকার ভোগীর।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা, ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাড. মেহেদী হাসান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাছিমা আলম, আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল মামুন লাভলু, ইউপি চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম,সরদার নূরুল ইসলাম কোম্পানী, আছের আলী মোড়ল, শাহ নেওয়াজ শিকারী, আওয়ামী লীগ নেতা জাফরুল ইসলাম পাড়সহ সরকারি কর্মকর্তা,রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও সুশীল সমাজের মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
সম্পাদক: এস,কে রায়হান
ঠিকানাঃ প্রধান কার্যালয়ঃ নিরিবিলি বাজার, শাহপুর, তালা, সাতক্ষীরা। মোবাইল ০১৭১২-৯৯৫৮১৮ ইমেইল: somajchetona1122@gmail.com
somajchetona