কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধিঃ খুলনার কয়রায় জনগণের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেন কয়রা উপজেলার ২ নং বাগালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ গাজি অপরজন উত্তর বেদকাশি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি সরদার নূরুল ইসলাম কোম্পানি। ২০ আগস্ট মঙ্গলবার সকালে এই ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বাগালী ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদকে নিজ কার্যালয়ে পেয়ে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেন স্থানীয় বিক্ষিপ্ত জনগণ। জনগণের তোপের মুখে পড়ে প্রথমে তিনি সাদা কাগজে স্বাক্ষর করে দেন । পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর পদত্যাগ পত্রের একটি কপি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় ।পদত্যাগ পত্রে ব্যক্তিগত অসুবিধার কথা উল্লেখ রয়েছে। ইতি মধ্যে জোর করে পদত্যাগ করাতে বাধ্য করার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে৷
ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক স্বাক্ষর নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে বাগালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজি বলেন,আমি সকাল ১০ টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে জন্ম নিবন্ধন ও ওয়েশকাম সার্টিফিকেটে স্বাক্ষরের কাজ করছিলাম।১১ টার দিকে শতাধিক লোক এসে জোরপূর্বক পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর করতে বলেন। আমি রাজি হয়নি।স্বাক্ষর না করলে কয়রা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জি এম মহসিন রেজার মতো আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারার হুমকি দেয়।এবং একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর করে নেয়।
অপর দিকে, গত কয়েক দিন উত্তর বেদকাশি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ পদত্যাগ দাবি করে আসছিলেন এলাকাবাসী। ১৯ আগস্ট তার পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনও করেন স্থানীয়রা। ২০ আগস্ট মঙ্গলবার তার নিজ বাড়ি থেকে তিনি পদত্যাগ করেন পদত্যাগ পত্রে তিনি ব্যক্তিগত অসুবিধার কথা উল্লেখ করেন।
এ ব্যাপারে উত্তর বেদকাশি ইউপি চেয়ারম্যান সরদার নূরুল ইসলাম কোম্পানির এর কাছে জানতে একাধিকবার ফোন দিলেও মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
২০ আগস্ট মঙ্গলবার বিকেলে পদত্যাগের বিষয়টি কয়রা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলি বিশ্বাস কাছে জানতে চাইৱে তিনি বলেন, বাগালী ইউপি চেয়ারম্যানের পদত্যাগ পত্রটি একজন দিয়ে গেছেন। পদত্যাগ পত্রে ব্যক্তিগত কারণ দেখি পদত্যাগ করেছেন এমন উল্লেখ আছে। উত্তর বেদকাশি চেয়ারম্যান শুনেছি পদত্যাগ করেছেন এখনো কোন লিখিত কাগজ তিনি পাননি । তিনি আরও বলেন চেয়ারম্যান স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন কিনা জেনে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।