নিজস্ব প্রতিবেদক : তরমুজ পরিবহণ গাড়ি থেকে খুলনার কয়রা বাগালী ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের মোক্তার সর্দার নামে এক ব্যক্তি চাঁদা আদায় করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সড়ক দিয়ে তরমুজ বোঝায় গাড়ি নিয়ে যেতে হলে গাড়ি প্রতি ১ হাজার টাকা চাঁদা না দেওয়ায় ৮ এপ্রিল সোমবার বিকাল থেকে ৬ ঘন্টা আনুমানিক ৬০ থেকে ৭০ টি গাড়ি আটকে রাখেন বলে অভিযোগ করেন ট্রাক চালকরা।পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক হয়।
একাধিক ট্রাক চালক ও তরমুজ ব্যবসায়ী অভিযোগ করে বলেন, কয়রা উপজেলার আমাদী ও বাগালী ইউনিয়নে তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে তরমুজ ব্যবসায়ীরা এসে ওই সকল এলাকার তরমুজ ক্রয় করছেন। ওই তরমুজ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাচ্ছে। তরমুজ পরিবহণে প্রতিদিন শত শত ট্রাক আমাদী ও নারায়ণপুরের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করছে। এসব স্থান থেকে ট্রাক তরমুজ লোড দেয়া হয়। স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে স্থানীয় মোক্তার সর্দার ও তার ছেলে আফজাল রাস্তার নষ্ট হওয়ার দোহাই দিয়ে তার দাবিকৃত চাঁদা না দিলে ট্রাক আটকে রাখছে এতে তাদের ব্যবসা ও ট্রাক চালকদের ব্যাপক ভোগান্তি ও ক্ষতি সাধন হচ্ছে।
ট্রাক চালক সিরাজুল জানান, চাঁদা না দিলে ট্রাক আটকে রাখে। বিকাল থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত পরে পুলিশ আসলে গাড়ি চলাচল শুরু হয়। তিনি আরও বলেন আমরা প্রতিবাদ করায় আমাদের এক গাড়ি চালকে মারধর ও করা হয়।
খুলনার ট্রাক চালক শফিক ও যশোরের নাদির ও ঢাকার আনোয়ার একই অভিযোগ করেন মোক্তার সর্দারের বিরুদ্ধে। তারা এ ব্যাপারে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,মোক্তার সর্দারের বিরুদ্ধে এর আগে চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
তবে, অভিযুক্ত মোক্তার সর্দার টাকা চাঁদা আদায়ের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘ট্রাক চলাচলের কারণে সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাথে সাথে আমার কিছ ইট রাস্তার পাশে ছিল সেগুলো তারা ভেঙ্গে ফেলছে আমি তাদের আমার ইট কেনার কথা বলি এই ছাড়া অন্য কোন বিষয় নয়।
কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি জানা মাত্রই ঘটনাস্থানে পুলিশ পাঠিয়ে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে। চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বি এম তারিক-উজ-জামান বলেন, ‘বিষয়টি খোঁজ নিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হবে।