মো লুৎফুর রহমান রাকিব, কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধিঃ
চেয়ারম্যান মাহাবুব নিজের দায় এড়াতে ফসলি জমির মাটি কাটা রোধে সাংবাদিকদের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন। সন্ধ্যা হলেই মাটি খেঁকুদের উৎপাত দৌঁড়ঝাপ আর দলে দলে মোটরসাইকেলে মহড়া সারা চৌদ্দগ্রাম জুড়ে চোখে পড়ার মতো। মাটি খেঁকুরা রাতের আধাঁরে ভুমি আইনের তোয়াক্কা না করে স্হানীয় সর্বস্তরের প্রশাসনকে বৃদ্ধাগুলি দেখিয়ে স্হানীয় এমপি মুজিবুল হকের রাজনৈতিক কর্মী পরিচয়ে দাপটের সহিত ফসলি আবাদি জমি সহ চৌদ্দগ্রামের ওপর দিয়ে প্রবাহিত বেশ কয়েকটি খালের পাড়ে ভেকু দিয়ে মাটি বিক্রি করার প্রতিযোগিতায় নেমেছে। সরেজমিনে দেখে মনে হয় এসব অবৈধ মাটি কাটা রোধ করতে স্হানীয় প্রশাসন যেন মাটি খেঁকুদের কাছে অসহায়, নাকি মাটি খেঁকুদের ভাষ্য অনুয়াযী সবাই তলে তলে ম্যানেজ।
সরেজমিনে রাতের আধাঁরে অনুসন্ধানে দেখা যায় গত ১ সপ্তাহ ধরে কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামের ২নং কালিকাপুর ইউনিয়নের মিয়ার বাজারের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কাঁকড়ী খাল খননের নামে রাজার বাজারের রামচন্দ্রপুর এলাকায় রাতের আধাঁরে ৪ টি ভেকু দিয়ে মাটি কেটে কমপক্ষে ৫০টির অধিক ট্রাক্টর দিয়ে স্হানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাহাবুবের নের্তৃত্বে আরজু নামের আরেক মাটি খেঁকুর নিয়ন্ত্রণে প্রতিরাতে শত শত গাড়ি মাটি নিয়ে যাওয়ার বিরতিহীন মহা – উৎসব চলছে যা দেখার কেউ নেই।
স্হানীয় সচেতন মহলের গোপন সুত্রে মতে তথ্য অনুযায়ী সরেজমিনে দেখা যায় উপজেলার রাজার বাজারের রামচন্দ্রপুর এলাকায় কাঁকড়ী খাল খননের নামে স্হানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাহাবুবের নের্তৃত্বে আরজু নামের এক মাটি খেঁকুর পরিচালনায় প্রতিদিন শত শত ট্রাক্টর মাটি বিক্রির উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ইটভাটায় নিয়ে যাচ্ছে আর এই মাটি ভর্তি গাড়ির হিসাবও লিখছে খোদ রাজার বাজার আওয়ামীলীগ অফিসে বসেই। যা দেখে মনে হয় অত্যাচারী রাজার দুঃশাসনের মতো কারবার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্হায়ীয়রা জানান, এসব মাটি আমাদের চেয়ারম্যান মাহাবুব তার সাঙ্গপাঙ্গদের দিয়েই আজ কয়েকদিন ধরে সন্ধ্যার পর থেকে সারা রাত ধরে নিয়ে যায়। তারা জানান আশপাশের মানুষ তাদের এই কর্মকান্ডের কারণে রাতে ট্রাক্টরের শব্দে ঘুমাতে পারে না। চেয়ারম্যান মাহাবুব মজুমদারের হোমড়া ছোমড়াদের ভয়ে কেউ মুখ খোলে কথা বলতে সাহস পায় না।
স্হানীয় লোকজন জানান তাদের এই মাটি নেওয়ার কারনে আশপাশের প্রতিটি রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সামনে বর্ষার দিনে রাস্তায় চলাচলে মানুষের দূর্ভোগের শেষ থাকবে না।
স্হানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্য হলো আমাদের চেয়ারম্যান যেখানে মাটি বিক্রি রোধ করার কথা সেখানে তিনি নিজেই খালের মাটি বিক্রির সাথে জড়িত। স্হানীয়দের প্রশ্ন মাহাবুব চেয়ারম্যানের কিসের এতো অভাব যে তার সরকারি খাল পাড়ের মাটি বিক্রি করতে হবে।স্হানীয়দের ভাষ্য সবাই ওপড়ে ওপড়ে সাধু, কাজ কারবারে বুঝা যায় কে কত বড় সাধু। স্হানীয়রা জানান টাকার লোভ কেউ সামলাতে পারে না।আমাদের চেয়ারম্যানও ব্যতিক্রম নয়।
চেয়ারম্যান মাহাবুব এর মাটি বিক্রির সাথে জড়িত তার বিশ্বস্হ লাইনম্যান/পরিচালনাকারি আরজুর কাছে মাটি বিক্রির বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি সরাসরি জানান, এ বিষয়ে আপনারা মাহাবুব চেয়ারম্যান আর জসিম সর্দার সাথে যোগাযোগ করেন তারাই সব আমরা হলো এখানে কামলা খাটি মাত্র। আরজু সাংবাদিকদের কিছু টাকা দিয়ে তাৎক্ষনিক ম্যানেজ করার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন।
মাটি কাটার অভিযোগের বিষয়ে চেয়ারম্যান মাহাবুব মজুমদারকে ফোন করে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনারা সাংবাদিকরা খাল খননের মাটি নিয়ে প্রশ্ন করেন।সারা চৌদ্দগ্রাম যে ফসলি জমির মাটি কাটতেছে কই কেউ তো একটা নিউজ করতে দেখলাম না। আমি ফসলি জমির মাটি কাটার বিপক্ষে পারলে ফসলি জমির মাটি কাটা রোধে কিছু লিখেন আমিও সহযোগিতা করবো। তাকে পুনরায় তার বিরুদ্ধে কাঁকড়ী খালের মাটি বিক্রির অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,ভাই আমি এই বিষয়ে কিছুই জানি না।তাকে পুনরায় প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান আমার ইউনিয়নের পাশে তো ইন্ডিয়া বর্ডার কে কেমনে মাদক চোরা কারবারি করে সেটা কি আমি সব জানতে পারি। কোথায় কে মাটি কাটে সেটা আমি জানি না ভাই বলে তিনি দ্বায় এড়াতে চেষ্টা করেন।
মাটি কাটার বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা ইউএনও কে কয়েকবার অবগত করলেও তিনি অভিযানে আশ্বস্হ করলেও তিনি কাজের কাজ কিছুই করেননি।
এই বিষয়ে কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের সাথে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তার সাথে মোবাইল সংযোগটি পাওয়া যায়নি।