মোঃ ইমরান হোসেন, বটিয়াঘাটা (খুলনা) প্রতিনিধিঃ কৃষকের অত্যন্ত প্রিয় বন্ধু করোনাকে ভয় না করে আরো দ্বিগুণ উৎসাহিত হয়ে নতুন নতুন প্রযুক্তি নিয়ে নোনা অঞ্চলের কৃষিকে সবুজে সবুজে ভরে দিয়ে কৃষকের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন,একজন সৎ, দক্ষ, পরিশ্রমী, ধৈর্য্যশীল, সদা হাস্যোজ্জ্বল মানুষ চাকুরির সুবাদে জীবনের ৩১ টি বছর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলায় পার করছেন তিনি হলেন কৃষি কর্মপাগল উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সরদার আব্দুল মান্নান। সাংবাদিক ইমরান কে জানায় তিনি খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার উলা গ্রামে ১৯৬৬ সালে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম: সরদার আবুল কাশেম, মাতার নাম: নূরজাহান বেগম। পারিবারিক পাঠ শালা থেকে তার প্রথম চক সেলেটে লেখা লেখির শুরু হয়। সাহস নোয়াকাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ডুমুরিয়া মহা বিদ্যালয় থেকে এইচএসসি পাশ করেন। পরে এটি আই রহমতপুর বরিশাল থেকে কৃষি ডিপ্লোমা পাশ করে ১৯৮৯ সালে ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু উপজেলায় তার প্রথম কর্মজীবন শুরু হয়। তিনি সেখানে সুনামের সহিত চাকরি করে ১৯৯২ সালে খুলনা জেলায় বদলী হন। দীর্ঘ জীবনের ৩১ বছর বটিয়াঘাটা উপজেলায় কর্মরত আছেন। ব্যক্তি জীবনে সদা হাস্যোজ্জ্বল, মিশুক,সদালপী সাদা মনের তাই কৃষক কৃষাণীদের কাছে প্রিয় কৃষকের বন্ধু সরদার আব্দুল মান্নান। বটিয়াঘাটা উপজেলার সুরখালী ইউনিয়নের কৃষকদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে নিরালস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন সরদার আব্দুল মান্নান। সাংবাদিক ইমরান কে জানায় খুলনার দক্ষিণে এক সময় এসকল এলাকায় লবণাক্ততার কারণে এক ফসলী জমি ছিল যার ফলে হতদরিদ্র,নিপীড়িত অসহায় কৃষকেরা সেখানে আর কোনো ফসলের আশা ছেড়েই দিয়েছিল তখন বাংলাদেশ সরকারের কৃষি আবহাওয়া মৃত্তিকা গবেষণার এবং কৃষি বিজ্ঞানীদের নতুন নতুন গবেষণারত প্রযুক্তিগুলো কৃষকদের মাঝে হাতে কলমে জমিতে গিয়ে রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে কৃষকদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ডেকে এনে কৃষক মাঠ স্কুলের মাধ্যমে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ, দক্ষতা উন্নয়ন সহ পরিবেশ বান্ধব ও টেকসই কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণে নিরালস পরিশ্রম করে কৃষক কৃষাণীদের ভাগ্য পরিবর্তন করে সোনালী ফসলের সপ্নের আশার আলো দেখিয়েছেন সরদার আব্দুল মান্নান। তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিক ইমরান কথা জানান স্থানীয় বিজ্ঞ সমাজের প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিরা মনে করেন আমাদের এলাকায় এমন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার কারণে নোনা জলের কৃষকের ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে এবং নিম্ন আয় থেকে উচ্চ আয়ে পরিনত হয়েছে। বটিয়াঘাটা উপজেলার মধ্যেই নয় বাংলাদেশের মধ্যে এই উপজেলার সুরখালী কৃষকের উৎপাদিত ফসল সবচেয়ে আগেই বাজারে আসছে বলে মনে করেন সাংবাদিক ইমরান কে জানান সরদার আব্দুল মান্নান। কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে পারিবারিক সবজি পুষ্টি বাগান, ডিপ্লিং পদ্ধতিতে ভূট্টার চাষ, বিনা চাষে আলু, বাদাম, সূর্যমুখী, সরিষা, লবণ সহিষ্ণু জাতের আবাদ, ভার্মিকম্পোস্ট ও খামার জাত সার উৎপাদন বিভিন্ন ফসলের বালাই ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় জৈব প্রযুক্তি ব্যবহার করে কম খরচে অধিক ফলন কৃষকদের মাঝে জনপ্রিয় করে তুলেছেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সরদার আব্দুল মান্নান। সাংবাদিক ইমরান কে জানান তার এই কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ হিসেবে তিনি ২০১৭ সালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার, ২০১৮ সালে মানবাধিকার কমিশন থেকে বিভাগীয় পুরস্কার ও একই সালে জাতীয় ইঁদুর নিধন অভিযানে বিভাগীয় পুরস্কার এবং ২০২১ সালে দেশ সেরা বিশ্ব সয়েল্ড কেয়ার অ্যাওয়ার্ড লাভ করেছেন। তিনি বলেন এ স্বীকৃতি তার একার নয় বটিয়াঘাটা বাসী তথা তার কর্মরত এলাকার কৃষক ভাইদের সহযোগীতায় এটা সম্ভব হয়েছে। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সরদার আব্দুল মান্নান বলেন তার দীর্ঘ কর্মজীবনে কৃষক কৃষাণীদের কাজ থেকে যে সহযোগীতা এবং দোয়া ভালো বাসা পেয়েছেন এটাই তার জীবনে বড় পাওনা।
সম্পাদক: এস,কে রায়হান
ঠিকানাঃ প্রধান কার্যালয়ঃ নিরিবিলি বাজার, শাহপুর, তালা, সাতক্ষীরা। মোবাইল ০১৭১২-৯৯৫৮১৮ ইমেইল: somajchetona1122@gmail.com
somajchetona