আব্দুল্লাহ আল মামুনঃ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) সুন্দরবন সংলগ্ন ৫ জেলা (সাতক্ষীরা, পটুয়াখালী, খুলনা, বাগেরহাট ও বরগুনা) এসোসিয়েশনের আয়োজনে 'ম্যানগ্রোভ ইউনিফিকেশন' ব্যানারে সুন্দরবন দিবস উদযাপন করা হয়েছে।১৪ ফেব্রুয়ারি সুন্দরবন দিবস উপলক্ষে "সুন্দরবনকে ভালোবাসি, সবাই মিলে ভালো থাকি"- এই প্রতিপাদ্যে সকাল ১১টা থেকে দিনব্যাপী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সুন্দরবন দিবস পালিত হয়। এ সময় দিবসটি উপলক্ষে সুন্দরবন সম্পর্কে সচেতনতা ও এটি রক্ষার দাবিতে বিভিন্ন দাবি দাওয়া সংশ্লিষ্ট প্লেকার্ড প্রদর্শন ও র্যালির আয়োজন করা হয়। দুপুর ১২:২০ মিনিটে ক্যাম্পাসের জিরো পয়েন্ট থেকে র্যালি নিয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে শহীদ মিনারে এসে তা শেষ হয়। এরপর অতিথি ও সংগঠনগুলোর দায়িত্বশীলেরা বক্তব্য প্রদান করেন। একইসাথে সুন্দরবন নিয়ে কুইজ প্রতিযোগিতা ও প্রবন্ধ রচনা প্রতিযোগিতার ঘোষণা দেয়া হয়।
এসময় বাগেরহাট জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল জোবায়ের নিলয়ের সঞ্চালনায় অতিথি ও সংগঠনগুলোর সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকরা বক্তব্য রাখেন। বক্তারা বলেন, 'প্রতিটি দেশের শতকরা ২৫ ভাগ বনভূমি থাকা প্রয়োজন কিন্তু বাংলাদেশে তা নেই। বনভূমি যতটুকু আছে তার অধিকাংশই সুন্দরবন দ্বারা পূরণ করছে। এখন সুন্দরবনই যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে দেশের জলবায়ুর ব্যাপক নেতিবাচক পরিবর্তন ঘটবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ বেড়ে যাবে। জীব বৈচিত্র্য ধ্বংসের মুখে পড়বে। সেজন্য আমাদের উচিত সুন্দরবনকে বাঁচানো। সবার মাঝে সুন্দরবন সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।' এছাড়া বক্তারা আলোকপাত করেন প্লাস্টিক দূষণ রোধ, সুন্দরবন ভিত্তিক জিনিসগুলোর জিআই স্বীকৃতি, অভয়ারণ্য সৃষ্টি আরো বেশি ও নাগরিক সদিচ্ছার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।সাতক্ষীরা জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতির সভাপতি সাঈদ হাসান বলেন, "জীব বৈচিত্র্য রক্ষায় ও বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী রক্ষায় সুন্দরবনের কোনো ক্ষতি করতে দেয়া যাবে না। বিশ্বের অনেক প্রজাতির বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী যারা শুধু সুন্দরবনকে আঁকড়ে টিকে আছে। নিষিদ্ধ থাকা সত্বেও সুন্দরবনের আশেপাশে ১০ কি.মি. এর মধ্যে শিল্প কারখানা, অপরিকল্পিত প্রকল্প, ইটভাটা গড়ে তোলা হচ্ছে। যা সুন্দরবনের জন্য মারাত্মক হুমকি। এছাড়া নির্বিচারে গাছও কাটা হচ্ছে। সুন্দরবন ধ্বংসকারী এসব কর্মকান্ড বন্ধ করতে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক ও দায়িত্বশীলদের কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানাই।"
এছাড়া সাতক্ষীরা এসোসিয়েশনের ছাত্র উপদেষ্টা আতিকুল ইসলাম তার বক্তব্যে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষায় সুন্দরবনের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
খুলনা জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতির সভাপতি শেখ ওয়াছিউর রহমান শাফিন বলেন, "সুন্দরবন দিবস আয়োজনের উদ্যোগ নেয়ার জন্য সাতক্ষীরা জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতিকে ধন্যবাদ জানাই। সুন্দরবনকে রক্ষায় আমাদের তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের দেশের জন্য, আমাদের এলাকার জন্য, আমাদের রক্ষা কবজ সুন্দরবন কে সকল দূষণ থেকে আমরা রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর থাকবো।"
আয়োজক জেলা সংগঠনগুলো: সাতক্ষীরা জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতি, পটুয়াখালী স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন, খুলনা জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতি, বাগেরহাট জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতি ও বরগুনা জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতি।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালের ১৪ ই ফেব্রুয়ারী দিনটিকে সুন্দরবন দিবস ঘোষণা করা হয়।
সম্পাদক: এস,কে রায়হান
ঠিকানাঃ প্রধান কার্যালয়ঃ নিরিবিলি বাজার, শাহপুর, তালা, সাতক্ষীরা। মোবাইল ০১৭১২-৯৯৫৮১৮ ইমেইল: somajchetona1122@gmail.com
somajchetona