তালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি:: স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক ইজারাকৃত তালা বাজারের কাঁচা মাল ও পশু হাটের মধ্য ইটের ঘর নির্মাণ করা সহ জায়গা দখল করার মহাৎসব চলছে। এঘটনায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসন না দেখার ভান করে চোখ বুজে আছেন বলে অভিযোগ করেছেন ইজারাদাররা।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) সকালে হাট ইজারার নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে হাটের মাঝখানে বাঁশের খুটি ও ফ্লোর ইট দিকে পাঁকা করেন বারুইহাটি গ্রামর মিজানুর রহমান মোড়ল সহ আরো অনেকে।
হাট ইজারার আইন অনুযায়ী ইজারা ভুক্ত এলাকায় স্থায়ী ভাবে কোন ঘর নির্মাণ করা যাবে না। যদি কোন ব্যক্তি তাহা করেন তাহলে সেটি আইনের পরিপন্থী বলে গণ্য হবে। কিন্তু এ আইনের তোয়াক্কা না করে ঘর নির্মাণ করেন অনেকেই।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তালা বাজারের ইজারা ভুক্ত এলাকায় কিছু কতিপয় ব্যক্তি এর আগেও স্থায়ী দোকান ঘর নির্মাণ করে বসে আছেন। তবে বেশ কিছু দিন আগে তালা ইউনিয়ন ভূমি অফিস কর্তৃক স্থায়ী দোকান ঘর ভেঙ্গে দেন তৎকালীন সহকারী কমিশনার (ভূমি), কিন্ত পরক্ষণে স্থানীয় কিছু কতিপয় নামধারী নেতাদের ম্যানেজ করে পুনরায় দোকান ঘর নির্মাণ করেন। এতে করে বিপাকে পড়েছেন পশু হাটের ইজারাদার। তিনি হাটে জায়গা সংকুলান না হওয়ার কারণে ব্যাপারিরা গরু ও ছাগল এনে রাখার জায়গা পাচ্ছেন না বলে জানান । এ বিষয়ে কাঁচা মাল ব্যবসায়ীরা জানান, আমাদের তালা কাঁচা মাল হাট ৫ দিন হয় আর গরু হাট এক দিন শনিবার বসে। আমরা মিলে মিশে হাট টিকিয়ে রেখেছি কিন্তু নতুন ব্যাপারীরা হাটের মধ্যে ঘর নির্মাণ করে হটের সৌন্দর্য নষ্ট করছে।
তথ্য সূত্রে প্রকাশ, তালা উপজেলা সদরে অবস্থিত কাঁচা মাল হাটটি ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের জন্য ইজারা প্রাপ্ত হন আবু সাইদ বিশ্বাস। আর একই স্থলে পশু হাট টি ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের জন্য ইজারা প্রাপ্ত হন সাংবাদিক মীর জাকির হোসেন। যার ইজারা ও বিক্রয় মূল্য হলো, কাচঁ মাল হাটের ইজারা মূল্য নির্ধারণ করা হয় ১২ লক্ষ ৭৮ হাজার ১১৩ টাকা বিক্রয় করা হয় ১২ লক্ষ ৭৮ হাজার ২০০ টাকা। পশু হাট টি ইজারা মূল্য নির্ধারণ করা হয় ১ লক্ষ ২৭ হাজার ৫৮৯ টাকা আর বিক্রয় করা হয় ২ লক্ষ ৫ হাজার টাকা।
সর্বশেষ উক্ত হাটের মাঝখানে স্থায়ী দোকান ঘর নির্মাণ করায় পশু হাটের ইজারাদার বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির আশংকা করছেন বলে জানা গেছে।
এমতবস্থায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসন যদি সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ না করেন তাহলে আগামী বছর থেকে উক্ত পশু হাট আর ইজারা প্রদান করে সরকারী কোষাগারে টাকা প্রদান করতে পারবে না।
দোকান ঘর নির্মাণকারীরা বলেন, আমি ঘর নির্মাণ করবো। কেউ বাঁধা দিতে পারবে না। আমার ক্ষমতা আছে তাই দোকান ঘর নির্মাণ করেছি।
তালা পশু হাটের ইজারাদার সাংবাদিক মীর জাকির হোসেন জানান, আমি তালা বাজার বণিক সমিতির সভাপতি থাকা কালে এই পশু হাটটি তৈরী করেছিলাম মসজিদ ও মন্দিরের উন্নয়ন করার জন্য। পরে এটি সরকারী ভাবে ইজারা প্রদান করা হয়। দীর্ঘদিন পরে মৃতপ্রায় হাটটি ইজারা গ্রহন করি আমি। কিন্তু হাটের এলাকায় স্থায়ী দোকান ঘর নির্মাণ করায় ব্যপারিরা গরু -ছাগল আনয়ন করে রাখার জায়গা পাচ্ছেন না। আমি অবৈধ দোকান ঘর উচ্ছেদ করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
তালা সদর ইউনিয়নের ভূমি অফিস জানান, তালা বাজারের ইজারাভুক্ত জায়গায় দোকান ঘর নির্মাণের খবর জানতে পেরে ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে দোকান ঘর নির্মাণ বন্ধ করতে বলি। কিন্তু মিজানুর রহমান ঘর নির্মাণ বন্ধ করবেন না বলে জানিয়ে দেন। আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করছি দ্রুত।