নজরুল ইসলামঃ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ এক শাশ্বত ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। স্নিগ্ধ পরিবেশে আমাদের দুর্গাপূজার সাথে মিশে আছে বাংলার ঐতিহ্য গৌরব ও সংস্কৃতি। আবহমান কাল ধরে হিন্দু সম্প্রদায় বিপুল উৎসাহ- উদ্দীপনা ও উৎসবমুখোর পরিবেশে নানা উপকরণ ও আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে এদেশের মানুষ উদযাপন করে আসছে।
জগৎ জননী আনন্দময়ী অসুরদমনি, ত্রিনয়নী মা দুর্গার আগমনে যখন মুখরিত করে তোলে বাঙালি সনাতনী সমাজকে ঠিক তখনই সব ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে হৃদয়ের আকুতি মাখা অর্ঘ্য মায়ের চরণে অর্পণ করার জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠে সবার মন।
তারই ধারাবাহিকতায় এবারও জেঠুয়া সার্বজনীন পূজা মন্দির পর্ষদ কর্তৃক ৮৯তম বর্ষ দুর্গাপূজার অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে। উক্ত মহতি অনুষ্ঠানে জাতি, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই আমন্ত্রিত।
শারদীয় দুর্গাপূজা ১৪৩০ এর আহ্বায়ক দিলীপ কুমার অধিকারী এবং সদস্য সচিব মনিশংকর হালদারের নির্দেশনায়, অত্যন্ত নান্দনিক, সুচারুরূপে সাজানো-গোছানো জাঁকজমকপূর্ণ তালা উপজেলাধীন জেঠুয়া গ্রামের দুর্গাপূজা টি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সাবেক ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি দিবাশীষ অধিকারীর সরাসরি তত্ত্বাবধানে এক ঝাঁক নুতন উদীয়মান নেতৃত্ব এবং গ্রামবাসীকে সাথে নিয়ে পূজার আনুষ্ঠানিকতা একটি উৎসবে রূপ নিয়েছে যেটা অত্যন্ত উপভোগ্য।
এড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ এমপি , জেলা প্রশাসক মোঃ হুমায়ুন কবির,মন্দিরের জমি দাতা দীর্ঘদিনের সভাপতি বিদ্যাধর অধিকারী এবং প্রথিতযশা প্রতিমা শিল্পী গৌর পদ পালকে মন্দিরের পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।
বাংলাদেশ কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় জাতীয় কমিটির সদস্য ও দুর্গাপূজা কমিটির আহবায়ক দিলীপ কুমার অধিকারী;বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ তালা উপজেলা শাখার সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার, সহ-সভাপতি নারায়ণ মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক প্রণব ঘোষ বাবলুসহ প্রিয় দেশবাসী সকলকে শারদীয় দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং দুর্গা পূজা যেন সবার মঙ্গল বয়ে নিয়ে আসে এই শুভ কামনা করেছেন। পরিশেষে সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী কৃষক রত্ন মানবতার মা শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করেছেন। মহান ঈশ্বর সকলকে মঙ্গল করুক, মানবতার জয় হোক। জয় মা দূর্গার জয়।