ঢাকাসোমবার , ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  1. আইন-অপরাধ
  2. আন্তর্জাতিক
  3. আবহাওয়া
  4. আশাশুনি
  5. কলারোয়া
  6. কালিগঞ্জ
  7. কৃষি
  8. খুলনা
  9. খেলা
  10. জাতীয়
  11. জেলার খবর
  12. টপ ৪
  13. তালা
  14. দেবহাটা
  15. ধর্ম
আজকের সর্বশেষ সবখবর

দিনের বেলায় স্কুলে, রাতে অন্যের মৎস ঘেরে চুরি

Sk Rayhan
সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৩ ৮:২৪ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

নিজস্ব প্রতিনিধি: দিনের বেলায় চাকুরি করেন একটি বেসরকারি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে। আর রাত হলে তার অবাধ বিচরণ ঘটে অন্যের মাছের ঘেরে। বলছিলাম তালা উপজেলার খেশরা গ্রামের তাপস দাশের কথা৷ সে স্থানীয় সেন্টু দাশের ছেলে। কথিত আছে, তিনি সদ্য ১২ লক্ষ টাকায় নিয়োগ পেয়েছেন তালার কেএসডি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মী পদে।

গতকাল রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত ৩ টার দিকে খেশরার স্থানীয় সোনা কুঁড়ি বিলে মাছ চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে তাপস দাশ ও তার সঙ্গী পাশ্ববর্তী শাহাজাতপুর গ্রামের মৃত জহিরউদ্দীন গাজীর ছেলে মো. রুবেল গাজী।

জানা গেছে, সোনাকুড়ি দুটি পৃথক ঘেরের মালিক শেখ তানভীর ইসলাম অমি ও আবু হাসান সরদার তাদের দুইজনকে আটক করে। এসময় রুবেল গাজীকে হাতেনাতে ধরে এবং তাপস দাশ মোবাইল ও জুতা রেখে পালিয়ে যায়।

আরো জানা গেছে, ভোর ৫ টার দিকে রুবেল গাজীকে তার পরিবারের সদস্যদের (রহমান গাজি, হেলাল গাজী,কামাল গাজী ও সুমন গাজী) জিম্মায় দেওয়া হয় এবং তাপস দাশের পিতা-মাতা নানা কথা বলে মোবাইলটি নিয়ে যায়। তবে তাপস দাশের ব্যবহাটিত জুতাটি এখনও চুরি হওয়া ঘেরের বাসায় রয়েছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে ঘের মালিক তালা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও খেশরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক তানভীর হোসেন অমি বলেন, প্রায়ই আমার ঘের থেকে মাছ চুরি হয়। সেই ধারাবাহিকতায় আমি গতকাল রাতে আমার দুই বন্ধুকে নিয়ে ঘেরে যায়।
রাত ৩ টার দিকে আমি আমার ঘেরের বেড়ি থেকে ব্যাগে মাছ থাকা অবস্থায় রুবেল গাজীকে হাতেনাতে ধরি আর তাপস দাশ মোবাইল এবং জুতা ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যায়। আমি বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য এবং প্রশাসনকে জানিয়েছি।

স্থানীয়রা বলছেন, মাধ্যমিক ওই বালিকা বিদ্যালয়ে চাকুরির জন্য ১২ লক্ষ টাকা দিয়ে নিয়োগ পেতে গিয়ে সে জমিজমা ও সহায়সম্পদ হারিয়ে ফেলেছে। তাই এখন বাধ্য হয়ে তাপস এসব কাজ করছে। আর রুবেল গাজী বিদ্যুতের মিটারের নাম করে এলাকায় বহু মানুষের কাছে টাকা নিয়ে প্রতারণা করে বলেও জানা গেছে। সে নিজেকে মাঝেমধ্যে ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মচারী দাবি করে টাকা পয়সার লেনদেন করে বলে ও তার বিরুদ্ধে আগে একাধিক পত্রপত্রিকায় খবরও প্রকাশিত হয়েছে। রঞ্জু নামে এক যুবক জানান, তাদের কাছ থেকে জমির নামজারী করে দেয়ার কথা বলে ১২ হাঁজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে রুবেল।

খেশরা পুলিশ ফাঁড়ির এস আই মোহাম্মদ শফিউল্লাহ মোল্লা বলেন, ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে আমাদের লিখিতভাবে কিছু জানানো হয়নি। ঐ এলাকায় অন্য একটি কাজে গিয়ে চুরির ঘটনা সম্পর্কে অবগত হয়েছি। লিখিত অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।