মোঃ আসাদুজ্জামান, কপিলমুনি প্রতিনিধি, খুলনা: পাইকগাছায় চোরাই মোটরসাইকেলের ইন্ঞ্জিনও
পার্টসসহ মোঃ আলমগীর মোড়ল (২৭) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছেন স্থানীয় ফাঁড়ি পুলিশ। তবে মুলহোতা সুমন মোড়ল মোটরসাইকেল রেখে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় কপিলমুনি ইউনিয়নের নাছিরপুর গ্রামের মোঃ কবির মোড়লের পুত্র মোঃ আলমগীর মোড়ল (২৭) ও কাশিমনগরের মৃত তোফাজ্জেল মোড়লের পুত্র সমুন মোড়ল (৩৫) কে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন থানা পুলিশ। পাইকগাছা থানা মামল নং-৩, তারিখ-০৪-০৯-২০২৪। সমুন মোড়ল কপিলমুনি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও খুলনা জেলা বিএনপি নেতা মোঃ শাহাদাৎ হোসেন ডাবলুর ছোট ভাই। মমলা সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে কপিলমুনি ইউনিয়নের কাশিমনগর বটতলা নামক স্থানে নাইট ডিউটির সময় মোঃ আলমগীর মোড়ল একটি সাদা বস্তা নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে মেইন সড়কে আসতে থাকে। তার পিছনে সিডি হোন্ডা মোটরসাইকেল চালিয়ে সমুন মোড়ল আস্তে আস্তে আসতে থাকে। দূর থেকে নাইট ডিউটির কাজে নিয়োজিতরা থামিয়ে বস্তায় কি আছে জানতে চাইলে আলমগীর উত্তর না দিয়ে হাঁটতে থাকে। সন্দেহ হলে বস্তার মুখ খুলে দেখতে পায় মোটরসাইকেলে ইঞ্জিন ও পিছনে ক্যারিয়ার আছে। এ সময় স্থানীয়রা আলমগীরকে আটক করে স্থানীয় ফাঁড়ি পুলিশকে খবর দিলে আলমগীরকে আটক করে। কিন্তু ঘটনার মূলহোতা সুমন মোড়ল তার ব্যবহৃত হোন্ডা সিডিআই মোটরসাইকেল রেখে পালিয়ে যায়। এ সময় পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আলমগীর জানায়, সমুন মোড়ল ফোন করে তাকে জানায় তার কাছে মোটরসাইকেলের পার্টস আছে। তার পরস্পরের যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে চোরাই মোটরসাইকেলের পার্টস চুরি করে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে। থানা অফিসার ইনচার্জ ওবাইদুর রহমান জানান, আসামি আলমগীরকে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে এবং পলাতক আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। উলে­খ্য,এর আগে সুমন মোড়লের ভাই এম আজাদ হোসেনের আলিশান বাড়িথেকে থানা অভিযান চালিয়ে চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করে এবং তার নামে থানায় একাধিক মামলাও রয়েছে।