সমাজ চেতনা নিউজ ডেস্কঃ তালা উপজেলার খেশরা ইউনিয়নে ‘খেশরা ব্লাড ফাউন্ডেশন’ এর উদ্যোগে বজ্রপাত ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা পেতে দিনভর তালের বীজ রোপণ করেছে খেশরা ব্লাড ফাউন্ডেশন এর স্বেচ্ছাসেবীরা। বুধবার (৩০ আগষ্ট) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত উপজেলার খেশরা ইউনিয়নের শালিখা – খেশরা তিন কিলোমিটার রাস্তার দুইপাশে প্রায় ৩০০০ তালবীজ রোপন করে তারা। তালবীজ রোপন উদ্বোধন করেন খেশরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ব্লাড ফাউন্ডেশন এর উপদেষ্টা প্রভাষক রাজিব হোসেন রাজু। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন শালিখা ডিগ্রী কলেজের পদার্থ বিজ্ঞানের অধ্যাপক পলাশ কুমার দাশ, ইউপি সদস্য মোড়ল শামসুল হক, ব্লাড ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা প্রভাষক এস. আর আওয়াল, সাবেক চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন, ইউনিয়ন যুবলীগ আহ্বায়ক শেখ জাকির হোসেন, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও ব্লাড ফাউন্ডেশন এর উপদেষ্টা গোলদার সুমন হোসেন।
খেশরা ব্লাড ফাউন্ডেশন এর পরিচালক মেজবাহুর রহমান নাহিদের নেতৃত্বে তালের বীজ রোপনে অংশ নেয় শাহিন ইসলাম রনি, সাব্বির রহমান, ইমন হোসেন, আখতারুজ্জামান, জয়ন্ত দাশ, রাজু দাশ, আসিফ শাহরিয়ার, সাইফুল ইসলামসহ ১৫ থেকে ২০ জন স্বেচ্ছাসেবী।
এ বিষয়ে রাজিব হোসেন রাজু বলেন, আমাদের গ্রামের ফসলের মাঠ থেকে ঘরবাড়ি অনেক দূরে হওয়ায় কৃষকরা মাঠে কাজ করার সময় বজ্রপাতে অনেকেই মারা যান। সেইসঙ্গে প্রতি বছর অনেক গবাদি পশু মারা যায়। তাল গাছ এসব দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা করতে পারে বলে এমন উদ্যোগ নিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি। এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে ১৫ থেকে ২০ জন স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে দিনভর তালের বীজ রোপণ করেছি। আমাদের মতো আপনারাও বাড়িতে পড়ে থাকা তালের বীজ বাড়ির আঙিনা কিংবা আশেপাশে রোপণ করুন। অথবা সেই বীজ তুলে দিন খেশরা ব্লাড ফাউন্ডেশনের হাতে। আসুন প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা ও বজ্রপাত থেকে বাঁচতে তালের বীজ রোপণ করি।
শালিখা ডিগ্রী কলেজে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক পলাশ কুমার দাশ বলেন, মাটির ক্ষয়রোধ, প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় তালগাছের জুড়ি নেই। এর পাশাপাশি গৃহ নির্মান ও হাতপাখা তৈরিতে তালগাছের ব্যবহার হয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। তালপাতার পাখা আমাদের ঐতিহ্যের একটি অংশ। তাল গাছের ডালের আঁশ থেকে আধুনিক কালে রকমারি দ্রব্যাদিও প্রস্তুত হচ্ছে। তবে তালগাছের সংখ্যা ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে। নতুনভাবে তালবীজ রোপন এর মাধ্যমে আমরা এর বিলুপ্তি রক্ষা করতে পারি।