ব্যঙের ছাতার মতো যে ইচ্ছা সে ই ” সাংবাদিক” বনে যাচ্ছে, তাও যদি এরা সাংবাদিকতা করতো, মেনে নিতাম সব, মাঝে মাঝে চারদিক তাকালে ঘেন্না লাগে, পেশাটা কে বাজারের পলিথিনের মতো মোড়ক বানিয়ে ফেলেছে এরা, বিক্রীও হচ্ছে বাজারের মাছের মতো, গ্রুপিং তো বলে লাভ নেই, সব লজ্জা আমাদের, তার উপর কেউ এই নেতার সাংবাদিক, কেউ ওই নেতার পক্ষের সাংবাদিক, আর চাটুকারদের তো অভাব নেই, বছরেও একটা ভালো রিপোর্ট নেই, স্যারদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রেখে চলেন, কেউ রিপোর্ট করলে তাকে নেগেটিভ সাংবাদিক বলে স্যারদের কাছে নালিশ করা, এটা কখনোই সাংবাদিকতা নয়, বরং নিজেদেরকে কথিত স্যারদের গোলাম শ্রেণীতে নিয়ে যাওয়া ছাড়া কিছুনা, সাধারণ মানুষের বিশ্বাসের জায়গাটা দিন দিন হারাতে বসেছে, এখন পাঠক ও দর্শকরা নিউজ কোনটি সঠিক সেটা খুজতে হয়, যার একমাত্র কারণ রিপোর্ট করার মতো সাহসের অভাব, আর এই সাহস তখনই আপনার মধ্যে থাকবে যখন আপনি কারো কাছে বিক্রী না হবেন, পেশাটার সম্মান রাখতে না পারলে নিজের আত্মসম্মানও হারাবেন সেটা হলফ করেই বলতে পারি, ভালো রিপোর্ট করতে শিখুন, পাবলিক আপনাকে তাদের একজন হিসেবে চিনে নেবে, প্রভাবশালীরা আপনাকে পছন্দ না করলেও সাধারণ মানুষের কাছে আপনি হিরো থাকবেন, আর মাত্র কয়টা টাকার জন্য যাদের হয়ে কাজ করতে বা যাদের কাছে ভালো থাকার চেষ্টা করছেন এরা আপনাকে তাদের ঘরের পোষা কুকুর বা দালাল হিসেবেই মূল্যায়ন করে, সত্যি, এরথেকে বেশি কিছু নয়, সাংবাদিকতায় একটা কোয়ালিটি ধরে রাখা উচিৎ, যেটা আপনাকে সম্মানিত করবে, যাদের অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করবেন তারা তো আপনাকে গালি দেবেই, তবুও দিনশেষে এসব প্রভাবশালী অন্যায়কারিরা নিজেরাও মনে প্রাণে এটা মানে যে আপনি একজন ভালো সাংবাদিক, আর কিছু বলবোনা, আপনারা ভালো থাকেন, আল্লার ওয়াস্তে এই পেশাটাকে ভালো রাখেন, নইলে কিছুদিন পরে ব্যপার টা এমন হবে যে – কোথাও গিয়ে যদি পরিচয় দেন আপনি সাংবাদিক, তাহলে যাকে পরিচয় দেবেন সে বলবে ” তুই সাংবাদিক? তাইলে ১ টা মিনিট দাড়া, আমি লাঠি টা নিয়া আসি” ( নোট- দুঃখিত, বর্তমান প্রেক্ষাপট৷