মোঃ ফরহাদ হোসেন, নিজস্ব প্রতিনিধি :: বাগেরহাটের মোংলায় উপজেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির দ্বি-মাসিক ও বার্ষিক পুষ্টি পরিকল্পনা তৈরি বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত সভায় ইউএনসিসি কমিটির সদস্যরা উপস্থিত থেকে মোংলা উপজেলার বিভিন্ন পুষ্টি বিষয়ক কাজের অগ্রগতি ও পুষ্টি পরিকল্পনা বিষয়ে মতামত তুলে ধরেন।
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০ টায় মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’র হল রুমে ক্রেইন প্রকল্পের সহযোগিতায় উপজেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ শাহীনের সঞ্চালনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও মোংলা উপজেলার নির্বাহি কর্মকর্তা দীপংকর দাশ এবং প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির উপদেষ্টা ও মোংলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার। এই সময় ইউএনসিসি কমিটির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত থেকে মোংলা উপজেলার বিভিন্ন পুষ্টি বিষয়ক কাজের অগ্রগতি তুলে ধরেন এবং বার্ষিক পুষ্টি পরিকল্পনার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তর অনুযায়ী পুষ্টি পরিকল্পনা প্রণয়ন করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির উপদেষ্টা ও মোংলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার বলেন, পুষ্টি বিষয়ে সবার আগে আমাদের পরিবারের লোকদের আগে সচেতন করতে হবে। ইউনিয়ন পর্যায়ে গর্ভবতী মা ও কিশোর-কিশোরীদের নিয়ে পুষ্টি বিষয়ক উঠান বৈঠক করে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। শিশু জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন করতে হবে এই বিষয়ে প্রচারের জন্য এনজিওদের বড় ভুমিকা রাখতে হবে।
অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত থেকে মতামত পেশ করেন, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ জাহিদুল ইসলাম, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা এস. এম. মাসুদ রানা, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ইশরাৎ জাহান, চাঁদপাই ইউপি চেয়ারম্যান মোল্ল্যা তারিকুল ইসলাম, বুড়িরডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান উদয় সঙ্কর বিশ্বাস, মিঠাখালি ইউপি চেয়ারম্যান বাবু উৎপল কুমার মন্ডল, সুন্দরবন ইউপি চেয়ারম্যান একরাম ইজারাদার সহ সাংবাদিক, শিক্ষক, এনজিও প্রতিনিধি প্রমূখ।
ক্রেইন প্রকল্পের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেজেএস’র উপজেলা কো-অর্ডিনেটর তরুন বড়ুয়া, রুপান্তরের উপজেলা ওয়াশ ও সিএসও মোবিলাইজার বিপাশা রায়, মোঃ মনিরুল ইসলাম, ওয়াছিও আকরাম খান ইমরান, রাদিয়া খাতুন।
উল্লেখ্য যে, ক্রেইন প্রকল্পটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে এবং কনসার্ন ওয়ার্ল্ড ওয়াইড’র সহযোগিতায় জেজেএস, রুপান্তর ও ওয়াটার এইড’র মাধ্যমে বাগেরহাটের মোংলা, মোল্লাহাট, কচুয়া ও শরণখোলা উপজেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে।