সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ রাতুল সীমাকে প্রশ্ন করলো, ‘এবার ইদ কেমন কাটালে তুমি’…
সীমাঃ সব মিলিয়ে মন্দ না,দেশের পরিস্হিতি ও পরিবেশ নাগরিকের অনুকূলে ছিল,তবে নিত্যপণ্যের দাম ছিল অস্বাভাবিক ও আকাশছোঁয়া..!
চিনি,মুরগী,ডিম,গরুর মাংস, নিত্যপণ্য ও সব্জীর বাজার পাবলিক থেকে চড়া মূল্য নিয়েছে…
রাতুলঃ আজ গৌতম বৌদ্ধের জন্মদিন এছাড়া তিনদিন বন্ধ অনেকটা ইদের ছুটি…
সীমাঃ সারা চাটগাঁ সুনশান নিরব, কেউ কেউ গ্রামের বাড়িতে,আবার কেউ বিভিন্ন পর্যটন এলাকায় অবকাশ যাপন করছে..আমি বাসায় পরিস্কার অভিযান নিয়ে ব্যস্ত..তুমি কী করছো.?
রাতুলঃ বাসায় অবকাশ যাপন করছি…
সকালে কাঁচাবাজারে গেলাম..কাঁচা সব্জীর বাজার আগুন ইদের ১ সপ্তাহের ব্যবধানে নিত্যপণের দাম লাফিয়ে বাড়ছে..পিঁয়াজ কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৬০/৭০ টাকা, প্রতিটি মৌসূমী সব্জীর দাম কেজি প্রতি ৬০ টাকার উপরে..টেড়শ ও বরবটি ৮০/১০০ টাকা কেজিবিক্রী হচ্ছে…
মাছের বাজারে একই ত্রাহি ত্রাহি বহমান সময়…
তালাপিয়া ও পাঙ্গাশ মাছ ভিআইপি মর্যাদা পেয়েছে..
অন্যান্য সিআইপি মর্যাদাসীন মাছ গুলো দাম বললে তুমি কান্না করে খুন হবে সুতরাং বাজারে গিয়ে ভিজিট করলে বুঝা যাবে সাধারণ পাবলিকের অবস্থা..!
সীমাঃ জেলা প্রশাসন কাজ কী..? নজরদারি ও তদারকি করলে সমস্যা কোথায়..?
রাতুলঃ কোন সমস্যা নেই, মাঝে মধ্যে জেলা প্রশাসনের অভিযান দেখি পত্রিকার পাতায়…এদেরও কাজের সীমাবদ্ধ আছে সুতরাং আমরা সাধারণ পাবলিক গলা ফাটিয়ে চিৎকার করলে কোন ফায়দা হবে না, কারণটা তোমাকে নাই বললাম..আামাদের হাত বাঁধা.!
সীমাঃ তুমি ঠিক বলেছো, প্রতিবাদ করলে হীতে বিপরীত হয়…আমার একটা ফমূর্লা আছে.?
রাতুলঃ যেমন…
সীমাঃ নিত্যপণ্য ও খাদ্যদ্রব্যের দাম পাল্লা দিয়ে বাড়ছে,আমরা পাবলিকরা না খেলে কী হয়, আমরা কম খাবো, প্রতিটি দ্রব্য ১ পোয়া কিনবো,,, স্টক করলে দামতো বাড়বেই…
রাতুলঃ তোমার এ পরামর্শ কে শুনবে…
সীমাঃ পাবলিক চেস্টা করলে পাবলিকের সুবিধা…!
রাতুলঃ জেলা প্রশাসন কঠোর হলে কালোবাজারী ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব….
কথা হলো পাবলিকের সিদ্ধ আওয়াজ কী মহাজন শুনবে.?
(অনুলিখনঃ সৈয়দ দিদার আশরাফী)