রিয়াদ হোসেন: প্রবাদে আছে ‘মাঘের শীত বাঘের গায়’। কিন্তু এই শীত বাঘের গায়ে লাগলেও লাগছে না চোরদের গায়ে। চারিদিকে কনকনে ঠান্ডায় জনজীবন কিছুটা বিপর্যস্ত হলেও চলমান রয়েছে চোরদের কার্যক্রম। আর জানুয়ারির শুরু থেকে এসব চোরদের নজর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দিকে।
২৮ জানুয়ারি (শনিবার) রাতে তালা উপজেলা ১৩৩ নং পশ্চিম খেশরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষ ও অফিসের তালা ভেঙে ১০ টি ফ্যান চুরি হয়েছে। এর আগে এ মাসের শুরুতে একই উপজেলার ডি.এন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েও ফ্যান চুরির ঘটনা ঘটে।
পশ্চিম খেশরা সরকারি প্রাথ. বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার স্কুল শেষে সব শ্রেণিকক্ষ তালাবদ্ধ করে রেখে যায় স্কুল কর্তৃপক্ষ। ২৯ জানুয়ারি (রবিবার) সকালে বিদ্যালয়ে এসে সহকারী শিক্ষক দিনেশ চন্দ্র সোম ভবনের মেইন গেট খুলতে গেলে দেখে গেটের তালা ভাঙা অবস্থায় পড়ে আছে। এরপর স্থানীয় মুদি দোকানদার এস.এম শাহিন (নওয়াব আলী) সহ আশপাশের লোকজন এসে দেখতে পায় বিদ্যালয়ের অফিসকক্ষ থেকে দুইটি, দো’তলায় তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণি থেকে আটটি ফ্যান চুরি হয়ে গেছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পরিমল পাঠক বলেন, প্রথমে ভবনের মূল গেট ভেঙেছে। এরপর অফিসকক্ষ ও শ্রেণিকক্ষের তালা ভেঙে মোট ১০ টি ফ্যান চুরি করে নিয়ে গেছে এবং অফিসকক্ষের আসবাবপত্র সব এলোমেলো অবস্থায় পড়ে আছে। প্রয়োজনীয় কোন কাগজপত্র চুরি হয়েছে কিনা তা সব না গোছানো পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না।
প্রতিষ্ঠানের সভাপতি শুভেন্দু দত্ত তুষার বলেন, বিদ্যালয়ে এসে দেখি সব এলোমেলো অবস্থায় ছড়ানো। অফিস এবং দো’তলা থেকে ফ্যানগুলো চুরি হয়েছে। ভবনের কাজ চলমান থাকায় ঠিকাদারদের রুমের তালাও চোরেরা ভেঙে ফেলেছে। তাদের রুম থেকে কিছু নিয়েছে কিনা নির্মাণ শ্রমিকরা না আসলে বোঝা যাচ্ছে না৷ তবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে কথা বলে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
স্থানীয় খেশরা পুলিশ ক্যাম্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন (এস.আই) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, বাইরের গেটের তালা কেটেই মূলত চুরি সংঘটিত হয়েছে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থানায় অভিযোগ করেছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।