বিশেষ প্রতিনিধিঃ তথ্যের অবাধ প্রবাহে গণমাধ্যমের গুরুত্ব অপরিসীম বলে মন্তব্য করেছেন সাতক্ষীরা সাংবাদিক সমাজের নেতারা। বিশ্ব গণমাধ্যম মুক্ত দিবস উপলক্ষে সাতক্ষীরায় সাংবাদিক সমাজের ব্যানারে আলোচনা সভায় বক্তারা গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে বলেন, গণমাধ্যম একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ।
একটি রাষ্ট্রের স্তম্ভ যত শক্ত ভিত পাবে, সে রাষ্ট্রের সমগ্র কাঠামো তত শক্তিশালী হবে। সে হিসেবে এই স্তম্ভটি হওয়া উচিৎ অত্যন্ত শক্তিশালী। রাষ্ট্রের এই স্তম্ভটি শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে স্বাধীন গণমাধ্যমের বিকল্প নেই।
বক্তারা আরও বলেন, নির্যাতিত নিপীড়িত অধিকার বঞ্চিত মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল সাংবাদিক সমাজ। সাংবাদিকদের দমন করতে বিভিন্ন সময়ে কালো আইন করা হয়েছে। তাতে থেমে থাকেনি সাংবাদিকদের লেখনি।
বক্তারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ সাংবাদিক দমনে যেসব আইন করা হয়েছে, তা বাতিলের জোর দাবি জানান। একই সাথে হলুদ সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবানজানান। বক্তারা বলেন, সাংবাদিকতায় স্বাধীনতা ভোগ করতে হলে লোভ-মোহ ত্যাগ করতে হবে। লোভ-লালসামুক্ত থেকে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় নি:স্বার্থভাবে কাজ করতে হবে।
বুধবার (৩ এপ্রিল) সাতক্ষীরায় বিশ্ব গণমাধ্যম মুক্ত দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। দৈনিক পত্রদূত পত্রিকার নিজস্ব কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এড. আবুল কালাম আজাদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী, সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরোয়ার, স্বদেশের নির্বাহী পরিচালক ও মানবাধিকার কর্মী মাধব দত্ত, সাতক্ষীরা
সাংবাদিক কেন্দ্রের সমন্বয়ক ও এখন টিভির জেলা প্রতিনিধি আহসানুর রহমান রাজিব, দৈনিক পত্রদূতের বার্তা সম্পাদক এসএম শহীদুল ইসলাম, চিফ রিপোর্টার আব্দুস সামাদ, সাংবাদিক ফারুক রহমান, দৈনিক কালের চিত্রের স্টাফ রিপোর্টার জাহিদ হুসাইন।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক পত্রদূতের নিজস্ব প্রতিনিধি আসাদুজ্জামান সরদার, মো: হোসেন আলী, দৈনিক ভোরের পাতার স্টাফ রিপোর্টার গাজী ফারহাদ, ঢাকা পোস্টের জেলা প্রতিনিধি সোহাগ হোসেন, সাংবাদিক হাবিবুল হাসান প্রমুখ।
এসময় সাতক্ষীরায় কর্মরত ৫ সাংবাদিকের নামে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা। তা না হলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলারও হুঁশিয়ারি দেন তারা।
প্রসঙ্গত, ১৯৯১ সালে ইউনিস্কোর ২৬তম সাধারণ অধিবেশনের সুপারিশ মোতাবেক জাতিসংঘ ১৯৯৩ সাল থেকে বিশ্ব গণমাধ্যম মুক্ত দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
সাংবাদিকতার স্বাধীনতা ও মুক্ত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠার মৌলিক নীতিমালা অনুসরণ, বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমের স্বাধীনতার মূল্যায়ন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ প্রতিহত করার শপথ গ্রহণ এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে ক্ষতিগ্রস্ত ও জীবন দানকারী সাংবাদিকদের স্মরণ ও তাদের স্মৃতির প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে বিশ্বব্যাপী সাংবাদিক সংগঠনগুলো দিবসটি পালন করে থাকে।
সম্পাদক: এস,কে রায়হান
ঠিকানাঃ প্রধান কার্যালয়ঃ নিরিবিলি বাজার, শাহপুর, তালা, সাতক্ষীরা। মোবাইল ০১৭১২-৯৯৫৮১৮ ইমেইল: somajchetona1122@gmail.com
somajchetona