এস এম সাহিদুর রহমান আকাশ,নিজস্ব প্রতিনিধি ::
সাতক্ষীরার তালায় প্রথমবারের মতো গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে সফলতা পেয়েছেন স্থানীয় চাষিরা। মালচিং পদ্ধতিতে মাচায় চাষকৃত ক্ষেতে ভরে গেছে হলুদ, কালো ও সবুজ তরমুজে। আশানুরূপ ফলনে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। একই সঙ্গে বেশ লাভেরও আশা করছেন তারা।
তালা উপজেলার তেঁতুলিয়া ও ভাইড়া গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, কৃষকের ক্ষেতে মাচায় ঝুলছে শত শত সুদৃশ্য তরমুজ। টুঙ্কিনারী, বুলেট কিং ও কানিয়া (বাংলালিংক) জাতের এসব তরমুজের কোনোটি বাজারজাতের সময় হয়েছে, কোনোটি এখনো জালি। খেতেও সুস্বাদু।
স্থানীয় কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি প্রথমবারের মতো এক বিঘা পাঁচ শতক জমিতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করেছি। এজন্য মে মাসের শেষ সপ্তাহে বীজ রোপণ করি। ইতোমধ্যে আমার ক্ষেত তরমুজে ভরে গেছে। চলতি সপ্তাহ থেকে তরমুজ বিক্রি শুরু করেছি।
এ প্রসঙ্গে বেসরকারি সংস্থা উন্নয়ন প্রচেষ্টার কৃষিবিদ নয়ন হোসেন বলেন, পিকেএসএফের অর্থায়নে উন্নয়ন প্রচেষ্টার সমন্বিত কৃষি ইউনিটের কৃষি খাতের আওতায় স্থানীয় কৃষকদের উচ্চমূল্যের ফসল হিসেবে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে উদ্বুদ্ধ করা হয়। প্রথমবারেই তারা উল্লেখযোগ্য সফলতা পেয়েছে। আশা করি মালচিং পদ্ধতিতে মাচায় গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষের প্রযুক্তি এই এলাকায় আরও সম্প্রসারিত হবে।
তালা উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি অফিসার শুভ্রাংশু শেখর দাশ বলেন, তালার ভাইড়া ও তেঁতুলিয়া গ্রামে প্রথমবারের মতো গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে সাফল্য পাওয়া গেছে। এ ক্ষেত্রে উন্নয়ন প্রচেষ্টা কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা করেছে। তাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে। সরকারের কৃষি বিভাগও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছে। গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষের এই প্রযুক্তি আগামীতে আরও সম্প্রসারিত হবে বলে প্রত্যাশা করছি।