শাহরিয়ার কবির,নিজস্ব প্রতিবেদক।। পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনিতে ফের মোটা বেতনে চাকরি কথা বলে কম্বোডিয়ায় নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় রাসেল নামে এক আদম ব্যবসায়ী কপিলমুনির নাবা এলাকার আব্দুল কাদের নামে এক যুবকের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা নিয়ে কম্বোডিয়ায় পাঠায়। সেখানে তাকে জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়ের জন্য শারীরিক ও মানষিক মানষিক নির্যাতন শুরু করে। এক পর্যায়ে বাড়ি থেকে ফের মুক্তিপণের টাকা পেয়ে একজিষ্ট ভিসার মাধ্যমে কাদের বাড়িতে ফিরে তার উপর লোমহর্ষক নির্যাতন ও প্রতারণার বর্ণনা দেয়।
এর আগে চলতি বছরের প্রথম দিকে কপিলমুনির সাংবাদিক তপন পাল তার কলেজ পড়–য়া ছেলে সুদীপ্ত পালকে স্থানীয় আরেক আদম ব্যবসায়ী দিদারের মাধ্যমে একইভাবে কম্বোডিয়ায় পাঠালে সেও প্রতারিত হয়। সুদীপ্তকে কম্বোডিয়ায় আটকে অনুরুপ নির্যাতন শুরু করলে একই দালালের মাধ্যমে অতিরিক্ত দু’লাখ টাকা ও ভবিষ্যতে মামলা না করতে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে দেশে ফেরৎ পাঠানো হয়।
স্থানীয়রা জানান, এসব ভুঁইফোড় আদম ব্যবসায়ীরা চাকুরী প্রত্যাশী নীরিহ বেকার ও তা তার অভিভাবকদের কথার ফুল ঝুঁরিতে আটকিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে কম্বোডিয়াসহ বিভিন্ন দেশে ভাল বেতনে চাকুরীর নামে পাঠিয়ে প্রতারণা করে আসছে। এদের কখনো ওয়ার্ক ভিসার পরিবর্তে টুরিষ্ট কিংবা স্টুডেন্ট ভিসা কখনো ভুয়া ভিসায় বিদেশে পাঠানো হচ্ছে। আবার কখনো এসব দালালরা বিদেশে পাঠিয়েই কমিশন লুটে দায়িত্ব শেষ করছে। সৌদি পাঠিয়ে আকামা করতে না পারায় অনেকেই সেখানে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। কেউবা ধরা পড়ে জেল খেটে বাড়ি ফিরছে। এমন ঘটনা প্রায়ই ঘটলেও এসব আদম ব্যাপারীরা থেকে যাচ্ছে বরাবরই ধরা-ছোঁয়ার বাইরে।
সর্বশেষ প্রতারিত কপিলমুনির নাবা গ্রামের আব্দুল কাদের জানান, উপজেলার লতা ইউনিয়নের শামুকপোতা গ্রামের খোকন সরদারের ছেলে রাসেল সরদার (২৩) তাকে কম্বোডিয়ায় ভাল বেতনে চাকুরি দেওয়ার কথা বলে ৫ লক্ষ টকা হাতিয়ে নেয়। এরপর তাকে কম্বোডিয়ায় পাঠিয়ে চাকুরীর পরিবর্তে একটি কক্ষে আটকিয়ে রেখে অমানুষিক নির্যাতন শুরু করে।
এরপর তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে বাড়িতে তার বৃদ্ধ বাবা-মায়ের কাছে মুক্তিপণ চেয়ে ফোন করে। দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণের টাকা পেয়ে তারা কাদেরকে ছেড়ে দিলে অনেক কষ্টে একজিষ্ট ভিসার মাধ্যমে সে পুনরায় বাংলাদেশে ফিরে এসে সেখানকার লোমহর্ষক ঘটনার বর্ণনা দেয়।
ঘটনায় তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনে তারা প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।