শাহরিয়ার কবির, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ খুলনাসহ সারাদেশে জেঁকে বসেছে পৌষের শীত। সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে পুরা এলাকা, সঙ্গে বয়ছে হিমেল হাওয়া। হঠাৎ করে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। প্রচন্ড শীতের কারণে কাজে যেতে পারছেন না খেটে খাওয়া মানুষ। গত রোববার ও সোমবার দুই দিন ধরে ঘন কুয়াশা আর মৃদু শৈত্য প্রবাহে শীত বেড়ে গেছে খুলনা অঞ্চলে। বৃদ্ধ ও শিশুদের নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন পরিবারের লোকজন। শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় পুরনো কাপড়ের দোকানে বেশ ভিড় বেড়েছে।
এদিকে শীত জেঁকে বসার কারণে ভোগান্তির কবলে পড়ছেন চলতি বোরো মৌসুমে বীজতলা তৈরিতে নিয়োজিত চাষিরা। জেলা শহরের সঙ্গে উপজেলা সদরের মহাসড়কগুলোর অধিকাংশ রাস্তায় ঘন কুয়াশায় যাত্রী ও মালবাহী যানগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। প্রতিদিন শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে শিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি কাপড়ের দোকানে বৃদ্ধি পাচ্ছে সোয়েটার, মাফলার, কান টুপি, মাথার টুপি, হাত মোজা, পায়ের মোজা, জ্যাকেট, প্যান্ট ইত্যাদি। নিত্যনতুন ডিজাইনের ছোট-বড় সকলের জন্য শীতের কাপড় সাজাতে ব্যস্ত দোকানীরা। বাজার বা জনবহুল এলাকার রাস্তার দু’পাশে হকারদের ব্যবসাও জমজমাট। তবে আগের চেয়েও দাম বেশি হওয়ায় কিছুটা বিপাকে ক্রেতারা। রাস্তার পাশের হকারদের দোকানে উপচে পড়া ক্রেতাদের ভিড় লক্ষণীয়।নগরীর নিক্সন মার্কেট, ক্লে রোড, লোয়ার যশোর রোড, জেলা পরিষদ ও ডাকবাংলা ফেরীঘাট এলাকা, কেসিসি মার্কেট এলাকা, কোর্ট এলাকা, বাংলাদেশ ব্যাংকের মোড়, রূপসা বাসস্ট্যান্ড, নতুন বাজার, দোলখোলা মোড়, ময়লাপোতা, নিরালা, গল্লামারি, জিরোপয়েন্ট মোড়, পাওয়ার হাউজ মোড়, কদমতলা মোড়, রেল স্টেশন, লঞ্চঘাট, সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড, জোড়াগেট, নতুন রাস্তা মোড়, খালিশপুর বাজার, বিআইডিসি রোডসহ বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন বাজার ও জনসমাগম এলাকায়। তবে অধিকাংশ জায়গায় সকালের থেকে বিকেল বা সন্ধ্যায় কেনাকাটা জমজমাট হতে দেখা গেছে।