শাহরিয়ার কবির, নিজস্ব প্রতিবেদক।। পাইকগাছায় বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের দ্বিতীয় বৃহত্তম খাত চিংড়ি শিল্প ধ্বংসের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে এবং চিংড়ি ও মৎস্য খাত রক্ষা করার দাবীতে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকালে গদাইপুরের মঠবাটী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা চিংড়ি চাষী সমিতি এ সমাবেশের আয়োজন করে। প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক ও বিশিষ্ট চিংড়ি চাষী এসএম মোজাম্মেল হক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন, উপজেলা চিংড়ি চাষী সমিতির প্রধান উপদেষ্টা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ কামরুল হাসান টিপু। বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা চিংড়ি চাষী সমিতির সভাপতি মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর, সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া রিপন, ষোলআনা ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাবেক সভাপতি এ্যাডঃ মোর্তজা জামান আলমগীর রুলু, সাজ্জাত আলী সরদার, রেজাউল ইসলাম, মনোহর চন্দ্র সানা, সুনীল মন্ডল, পোনা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বাবু রাম মন্ডল, কাঁকড়া ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি দেবব্রত দাশ দেবু, অসীম কুমার রায়, ইউপি সদস্য আলাউদ্দীন গাজী, ব্যবসায়ী ইলিয়াস হোসেন, শওকত মোড়ল, জামিলুর রহমান রানা, পঞ্চানন সানা, সায়েদ আলী কালাই, আলহাজ¦ আব্দুল হান্নান সরদার। সাংবাদিক জিএম মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, চিংড়ি চাষী শেখ আব্দুল আজিজ, সঞ্জিব রায়, ফারুক হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, গাউস সানা, শেখ শহিদ হোসেন বাবুল, মুজিবর রহমান, আবুল হোসেন, আজু মোল্লা, নূরুজ্জামান, শহিদুল ইসলাম ও মিজানুর রহমান সরদার। সমাবেশে বক্তারা বলেন, ৮০’র দশকে উপকূলীয় এ জনপদে লবণ পানির চিংড়ি চাষ শুরু হয়। শুরুতেই বহিরাগত এবং স্থানীয় ধর্নাঢ্য ব্যক্তিরা চিংড়ি চাষের সাথে সংযুক্ত থাকলেও চিংড়ি চাষ লাভজনক হওয়ায় দ্রুতগতিতে এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে উপজেলায় ৫ হাজারেরও অধিক চিংড়ি ঘের রয়েছে। বর্তমানে স্থানীয় জমির মালিকরাই চিংড়ি চাষ করছে। চিংড়ি চাষের মাধ্যমে অর্থনীতির চাকা সচল থাকায় একদিকে এলাকায় উচ্চ শিক্ষার হার বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে ব্যাপক আর্থকর্মসংস্থান সৃষ্টি হওয়ায় মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটেছে। এলাকার উৎপাদিত চিংড়ি ও অন্যান্য মৎস্য সম্পদ স্থানীয় পুষ্টিচাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি অতিরিক্ত মৎস্য সম্পদ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, লবণ পানির চিংড়ি চাষের বিরুদ্ধে একটি মহল ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে চিংড়ি চাষ বন্ধ হলে অর্থনৈতিকভাবে এলাকার হাজার হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বক্তারা চিংড়ি চাষ বন্ধের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লবণ পানির চিংড়ি এবং অন্যান্য মৎস্য চাষ বহাল রাখতে চলমান কর্মসূচী অব্যাহত রাখার পাশাপাশি জোরদার করার আহ্বান জানান।