মাসুদ সিকদার : ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠিতে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় নারী ও শিশু সহ নিহত ১৯ এবং আহত ৩৫ জন আহতদের ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল ও বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
আজ শনিবার সাকাল আনুমানিক ১০ টার দিকে ভান্ডারিয়া বরিশাল আঞ্চলিক মহাসড়কে ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ভান্ডারিয়া থেকে বরিশালের উদ্দেশ্য বাশার সৃতি পরিবহন গাড়িটি একটি ইজিবাইককে সাইড দিতে গিয়ে টায়ার বাষ্পীভূত হয়ে রাস্তার পাশে থাকা পুকুরে উল্টে পরে ডুবে যায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে উদ্ধার কার্য চালিয়ে একে একে নারী ও শিশু সহ ১৯ জনের মরাদেহ উদ্ধার করে। নিহতদের মধ্যে ১৬ জনের লাশ সনাক্ত করা হয়েছে। নিহতরা হলেন তারিক(৫৫),আঃ ছালাম(৫০),সুমাইয়া(৫),রাহিমা(৬০), আবুল কালাম, রিপা (৩), আইরিন (২২), রাজাপুরের নয়ন(১৬), খুশবো(২২), খাদিজা(৫০), ভান্ডারিয়ার রাবেয়া(৬০),সবিহা(৪৩), জাহাঙ্গীর (২৭), কাঠালিয়ার মিতা (৩৮), আরো অজ্ঞাত রয়েছে যাদের তাৎক্ষণিক পরিচয় জানা যায়নি। এদের মধ্যে ৮ জনের লাশ সন্ধ্যা ৬ টার দিকে পুলিশ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন। এ ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মী উদ্ধার কাজ করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পরেন। সড়ক দুর্ঘটনায় ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বরিশালের বিভাগীয় পুলিশ কমিশনার শওকত আলী ও পুলিশের ডিআইজি আখতারুজ্জামান। ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক ফারহা গুল নিঝুম অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মামুন শিবলী কে প্রধান করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে আগামী তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেয়ার নির্দেশ দেন।
এ ঘটনায় সাস্থ বিভাগের বিভাগীয় পরিচালক ও ঝালকাঠি জেলার সিভিল সার্জন ডাঃ এইচ এম জহিরুল ইসলাম ডাক্তারদের নিয়ে আহত রুগীদের চিকিৎসার তত্তাবধান করেছেন।
ঝালকাঠি জেলার পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল বলেন পুলিশ বিভাগের ডিআইজি নিহতদের দাফন ও সৎকারের জন্য এক লক্ষ টাকা প্রদানের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি আরো জানান এ ঘটনায় এখনো কেউ মামলা দায়ের করেন নাই তবে পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা করা হবে বাসের চালক,হেল্পার,কনট্রাক্টরকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।