বিশ্বনাথ বর্মন, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়াতে কোরবানির পশুরহাট জমে উঠেছে। রামনাথ হাট প্রচুর পরিমাণে গরু আমদানি হচ্ছে। বিক্রিও বেশ জমে উঠেছে। সপ্তাহে দুদিন হাট সোমবার ও শুক্রবার এখন পর্যন্ত ভারতীয় গরু দেখা না গেলেও বিক্রেতা ও ক্রেতা উভয়েই গরু কেনাবেচায় খুশি নন। ক্রেতাদের অভিযোগ- দাম বেশি আর বিক্রেতাদের অভিযোগ তেমন দাম মিলছে না। আশানুরুপ দাম না পেয়ে নাখোশ বড় আকারের গরুর মালিকরা। পশুর হাটে ইজারাদার ও পুলিশ প্রশাসন নিরাপত্তায় কাজ করছে।
কোরবানির ঈদ উপলক্ষে ঠাকুরগাঁওয়ের পাঁচটি উপজেলায় নিয়মিত ও মৌসুমীসহ প্রায় ৩০ টি হাটে প্রচুর পরিমাণে দেশি-বিদেশি, ছোট-বড় গরু-ছাগল আমদানী ও বেচা-কেনা হচ্ছে। বছরব্যাপী গরু পালনকারী খামারীরা এ সময় এসব হাটে প্রচুর পরিমাণে কোরবানির গরু বিক্রি করে। ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী ও আর্থিকভাবে সচ্ছল ব্যক্তিরা কোরবানির জন্য শেষমূহুর্তে পচ্ছন্দের গরু-ছাগল ক্রয় করতে হাট-বাজারগুলোতে ভিড় করছেন। ঈদের কয়েকটা দিন বাকি থাকায় চট্রগ্রাম ও ঢাকাসহ বাইরের পাইকারেরা হাট-বাজারে ভিড় করলেও গো-খাদ্যের দাম ও গাড়ি ভাড়া গুণ হওয়ায় চাহিদা অনুযায়ী গরুর দাম বেশি পড়ায় লোকশানের আশংকা ব্যাপারী বা পাইকারদের।
প্রতিহাটে দালাল ও ফড়িয়া মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে খামারীদের কাছ থেকে সরাসরি গরু-ছাগল পাওয়া যায় না। তাদের কারণে গরুর-ছাগলের দাম বেশি হাঁকা হচ্ছে বলে জানান ক্রেতারারা। তবে বিক্রেতাদের অভিযোগ খড়, ভুষিসহ বিভিন্ন গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। সারা বছর একটি গরু পালন করতে যে ব্যয় হয় সে তুলনায় গরুর দাম পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান বিক্রেতা বা খামারীরা।
তবে ভারত থেকে এবার এখন পর্যন্ত গরু না আসা এবং পাইকারদের আনা-গোনা কম বলে জানান হাট কমিটির দায়িত্ব প্রাপ্ত সদস্যরা।
এদিকে দুর্বৃত্তরা জাল টাকা ছড়িয়ে দিয়ে যেন সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করতে না পারে সেজন্য হাট কমিটির লোকজন ও পুলিশ তৎপর রয়েছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা।
যে দামেই গরু কেনা হোক না কেনো ঈদের দিনে পশু কোরবানির মধ্য সবার মনের পশুত্ব দূর হবে এই আশা সকলের।