মাসুদ সিকদার : তীব্র শীতে কষ্টে দিন কাটাচ্ছে দিনমজুর এবং নিম্নআয়ের মানুষ। বিশেষ করে নদ-নদী তীরবর্তী চর ও দ্বীপচর এলাকায় সবচেয়ে বেশি শীতের প্রভাব পড়েছে।দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তীব্র শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন। কয়েকটি জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলেছে।
রবিবার বেলা দুইটা। আকাশে মেঘ আর ঘন কুয়াশায় দেখা নেই সূর্যের। উত্তরের হিমেল বাতাসে অনুভূত হচ্ছে কনকনে শীত।
কথা হলো ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার ইজিবাইক চালক হাসানের সাথে তীব্র শীতের কারণে চালাতে পারছেন না গাড়ি। এই তীব্র শীতে গাড়ি চালাতে গিয়ে অসুস্থ হওয়ার আশংকা তার, এদিকে ঘরের চালও শেষ।
নদীতে ঝাল ফেলে মাছ ধরে সংসার চলে জেলে সুমনের। তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশায় যেতে পারছেনা ঝাল নৌকা নিয়ে নদীতে,পুঁজিটুকু শেষ হচ্ছে দিন দিন।
টানা কয়েক দিনের কনকনে শীতে রাজাপুরে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিরা জ্বর, সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন বলে জানা গেছে।
রাজাপুর উপজেলা সাস্থ ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রেজওয়ানুর আলম জানান,কয়েক দিন ধরে হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। হাসপাতালে আসা রোগীদের মধ্যে শিশুর সংখ্যা বেশি। শীতের এ সময়টাতে বয়স্ক ও শিশুদের ক্ষেত্রে বাড়তি যত্ন নিতে হবে। বিশেষ করে শিশুদের যেন কোনোভাবেই ঠান্ডা না লাগে, সে বিষয়ে অভিভাবকদের সচেতন থাকতে হবে। বাসি খাবার এড়িয়ে চলতে হবে এবং গরম পানি ব্যবহার করতে হবে।