মোঃ আসাদুজ্জামান, কপিলমুনি প্রতিনিধি, খুলনা : খুলনা-৬ আসনের এমপি মোঃ রশীদুজ্জামান মোড়ল বলেছেন,আমন মৌসুমে ঘেরে ধান না লাগিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র ঘোষনা এক ইঞ্চি জমি পতিত রাখা যাবেনা এটা অবজ্ঞা করলে সে সব চিংড়ি ঘের চিহ্নিত করে লাল তালিকা করা হবে।শুক্রবার দুপুরে পাইকগাছা সরকারী কলেজ চত্বরে “লবন পানি নিয়ন্ত্রন ও পরিবেশ সংরক্ষণ কমিটি”আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। এরই মধ্যে উপজেলা চিংড়ি চাষী সমিতি আয়োজিত মতবিনিময় সভায় ঘের মালিকরা লবন পানির চিংড়ি চাষের পক্ষে আন্দোলনে নামার হুমকির’ প্রেক্ষিতে এমপি বলেন,আমরা মাছে-ভাতে বাঙালী।ভয় পাবার কিছু নেই,আমি ঘের বিরোধী নই। শুধু পরিবেশ বিধ্বংশী লবন পানির চিংড়ি ঘেরের পরিবর্তে মিষ্টি পানিতে ধান-মাছের ঘেরের পক্ষে।তিনি আরোও বলেন,চিংড়ি ঘের মালিকরা ফসল উৎপাদন না করে কৃষি অর্থনীতি ধ্বংশ করছেন।বছরের পর বছর ধরে চিংড়ি ঘের করে তারা একক ভাবে ধনী হচ্ছে। অন্যদিকে কৃষকদের উৎপাদিত বহুমুখী ফসল আমরা সকলে ভোগ করে থাকি।
অভিজ্ঞতার বর্নানা দিয়ে এমপি বলেন,দুর্যোগ প্রবন এ এলাকায় অবৈধ ভাবে পাউবোর বাঁধ কেটে বা স্লুইস গেট দিয়ে পোল্ডারে লবন পানির চিংড়ি ঘেরে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে,মাটির গুনাগুন নষ্ট হয়েছে। ফলে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এতে মানুষ বেকার হয়ে বাধ্য হয়ে পেষার বদল করেছেন। এ অবস্থা চলতে দেয়া যায়না। এই গরীব কৃষক ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীই ভোট দিয়ে এমপি,উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেন। সে কারনে তাদের স্বার্থ রক্ষায় আমি বদ্ধ পরিকর।
উপজেলা লবন পানি নিয়ন্ত্রন ও পরিবেশ সংরক্ষণ কমিটির আহবায়ক অহেদুজ্জামান মোড়ল এর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব উদয় মন্ডলের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পাইকগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান আনন্দ মোহন বিশ্বাস,সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার ইকবাল মন্টু,পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সমীরন সাধু,মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আঃ রাজ্জাক মলঙ্গী,উপাধ্যক্ষ মিহির বরন মন্ডল,উৎপল কুমার বাইন,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আঃ ওহাব বাবলু,অনিতা রানী মন্ডল।বক্তব্য রাখেন সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান কৃষ্ণ পদ মন্ডল,অধ্যাপক রেজাউল করিম,ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আঃ মান্নান গাজী,রিপন কুমার মন্ডল,কাজল কান্তি বিশ্বাস,শাহজাদা মোঃ আবু ইলিয়াস,শেখ জিয়াদুল ইসলাম জিয়াসহ আয়োজক কমিটির নেতৃবৃন্দ। এ সময় আরোও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ।