শাহরিয়ার কবির, নিজস্ব প্রতিবেদক।। পাইকগাছার গড়ইখালীতে মরা গরুর মাংস বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। প্রাপ্ত অভিযোগে জানাগেছে, গত বৃহস্পতিবার উপজেলার গড়ইখালী ইউনিয়নের কুমখালী গ্রামের শুভংকারের পালিত একটি ষাড় মারা যায়। মারা যাওয়া গরুটি মাগুর মাছের খাওয়ানোর কথা বলে একই ইউনিয়নের ফকিরাবাদ গ্রামের গফুর গাজীর ছেলে মোকছেদ গাজী ও খোরশেদ গাজীর ছেলে ইলিয়াস গাজী সহ কয়েকজন ব্যক্তি ওই দিন আল—আমিন মোড়ে জবাই করে মরা গরুর সব মাংস বিক্রি করে। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে জনমনে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ক্রেতারা এ ব্যাপারে প্রতিবাদমূখর হয়ে উঠলে মোকছেদ ও ইলিয়াস এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে ইসমাইল মোড়ল জানান, আমি ৪ কেজি মাংস কিনে চরম ভাবে প্রতারিত হয়েছি। একই ভাবে ৫শ টাকা কেজি দরে ২ কেজি মাংস কিনে প্রতারিত হয়েছেন বলে জানান ক্রেতা আছাফুর গাজী। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য আক্তার হোসেন গাইন জানান, যারা এ কাজ করেছে তারা সবাই এলাকা থেকে পালিয়ে গিয়েছে। তবে বিষয়টি থানার ওসি মহোদয়কে অবহিত করেছি। ইউপি চেয়ারম্যান জিএম আব্দুস সালাম কেরু জানান, বিষয়টি শুনেছি তবে এ ব্যাপারে আমার কাছে কেউ কোন অভিযোগ করেনি। এদিকে শুক্রবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মরা গরুর মাংস বিক্রয়ের বিষয়টি সঠিক বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর ও উপজেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা উদয় কুমার মন্ডল। তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে আমি ১২ কেজি মাংস উদ্ধার করি এবং উদ্ধারকৃত মাংস পুড়িয়ে বিনষ্ট করি। এ ব্যাপারে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সংশ্লিষ্ট এ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।