গ্রীস প্রতিনিধি ॥ বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন গ্রীসের ৭ম নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ উঠেছে। প্রকাশ্যে ভোট কেন্দ্র দখল করে জাল ভোট দেওয়ার ঘটনাও ঘঠেছে এথেন্স কেন্দ্রে। নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে উঠেছে স্বজনপ্রীতির অভিযোগও। প্রকাশ্যে জাল ভোট, এক ব্যক্তি বারবার ভোট দিলেও অভিযোগ আমলে নেয়নি নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের খামখেয়ালিপনায় ভোট থেকে বঞ্চিত হয়েছে হাজারো প্রবাসী বাংলাদেশি।
জানা যায়, দীর্ঘ ৬ বছর পর গ্রীস প্রবাসীদের বৃহত্তর সংগঠন বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন গ্রিসের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯ মার্চ। দুটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হয়। একটি ভোট কেন্দ্র গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে অপরটি নেয়া হয় মানলোদা গ্রামে।
এথেন্স এর কেন্দ্রে নানা অব্যবস্থপনার মধ্যেও শুরুতে শান্তিপূর্ণভাবেই চলছিল ভোট গ্রহণ। ঘন্টাখানেক পরই শুরু হয়ে যায় জাল ভোটের মহোৎসব। এক পাসপোর্ট দিয়ে এক বার ভোট দেয়ার নিয়ম থাকলেও বাস্তবে দেখা গেছে একটি বিশেষ প্যানেল এর লোকজন এক পাসপোর্ট দিয়ে বারবার ভোট দিচ্ছেন। এমনকি ওই প্যানেলের লোকজন ভোটারদের সঙ্গে বুথে প্রবেশ করে জোরপূর্বক সীল দিতেও দেখা গেছে। এমন কান্ড বারবার নির্বাচন কমিশনের নজরে আনা হলেও আমলে নেয়নি নির্বাচন কমিশন। অভিযোগ উঠেছে বিপুল অর্থের বিনিময়ে একটি প্যানেলকে জয়ী করতে খোদ নির্বাচন কমিশনই এমন অনিয়মের সুযোগ দিয়েছেন। দিন দুপুরে প্রকাশ্যে এমন অনিয়ম দেখেও না দেখার ভান করেন দায়ীত্বশীলরা। পরে অপর একটি প্যানেলের লোকজন একাধিকবার ধাওয়া দিয়ে একাধিক জ্বাল ভোট প্রয়োগকারীকে আটক করেন। তবুও থামানো যায়নি তাদের জ্বাল ভোটের গতি। এই কেন্দ্রে নানা নাটকীয়তায় শেষ হয় ভোট গ্রহন।
অপরদিকে গ্রীসের মানলোদা গ্রামে বসবাস করেন প্রায় ৫ হাজার বাংলাদেশি। সে কেন্দ্রে সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৬ টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণের সুযোগ দেয়ার কথা থাকলেও শুরু হয় সকাল ১০ টা থেকে। কিন্তু ৬টার সময় বন্ধ করে দেয়া হয় ভোট গ্রহণ। এসয় হাজারেরও বেশি বাহিরে লাইনে ছিলেন। তারা ভোট দিতে পারেন নি। কারণ তারা দিনে কাজ করে বিকালে ভোট দিতে যান অনেকেই। কিন্তু তাদেরকে ভোটাধীকার প্রয়োগ থেকে বঞ্চিত করা হয়। এক পর্যায়ে নির্বাচন কমিশন কল দিয়ে পুলিশ নিয়ে তাদের উপর লাঠি চার্জ করায়। অনেকেই আহত হয়। সেখানের ভোট ওই কেন্দ্রে না গননা করে নিয়ে যাওয়া হয় এথেন্সে। এথেন্সে এসে যে ফলাফল দেয়া হয় তা সত্য নয় বলে অভিযোগ করছেন মানলোদা গ্রামবাসী। তারা বলছেন ভোট কারচুপি করা হয়েছে। একটি প্যানেলকে জয়ী করতে এমন কাহিনী করেছে নির্বাচন কমিশন। রাস্তায় শেখ আল আমীনের নামে দেয়া ভোটের ভ্যালট পেপার ফেলে দিয়ে অন্য প্রার্থীকে জয়ী ঘোষনা করায় ভোট বর্জন করেছেন শেখ আল আমীন।