শোয়েব হোসেন, ঢাকা : গাজীপুরে ওমর ফারুক নামক এক যুবকের সাথে ফেসবুকে পরিচিত হয়ে নানান অপকৌশলে বিয়ের অপতৎপরতা চালানোর ফলে যুবকের বোন হালিমা সদর থানায় অভিযোগ করেছেন গত ১৮/১০/২৪ ইং তারিখে।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, মহানগর গাজীপুরের গাছা থানার যুগিতলা এলাকার বাসিন্দা মোসা: চাঁদনী(২৫) সরকারি চাকুরীজিবি মোঃ ওমর ফারুক (২৯) এর সহিত প্রায় ১বছর পূর্বে মোবাইল ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচিত হয়।বিবাদী নানান কথার ছলে সেই যুবককে বিবাহের প্রস্তাব দিলে এবং যুবক ওমর বিবাদীর প্রস্তাবে রাজি না হলে বিবাদী বিভিন্ন সময়ে নানান প্রকার হুমকী ধামকী দিয়ে আসতে থাকে।বিবাদী প্রায়ই ওমরের বসত বাড়ীতে এসে বেহায়া ও সন্ত্রাসীর মতো ভয়ানক আচরণের দ্বারা বিবাহের প্রস্তাবে জ্বালা যন্ত্রনা দিয়ে আসছে নিয়মিত। বিগত ১৫/০৮/২০২৩ তারিখ হঠাৎ করে বিকাল আনুমানিক ০৫.০০ ঘটিকার সময় সদর থানাধীন উত্তর ছায়াবিথী সাকিনে যুবকের বসত বাড়ীতে বিবাদী অনধিকার প্রবেশ করে উত্তেজিত ও নেশাগ্রস্ত অবস্থায় অকথ্য ভাষায় গালি গালাজসহ হুঁমকী দিয়ে বলে যে,তাদেরকে খুন জখম করিবে। বিবাদী নিজেই নিজের ক্ষতি করে তাদের নামে মিথ্যা মামলায় হয়রানি করবে, শান্তিতে বসবাস করতে দিবে না ইত্যাদি।
সচেতন মহলের মতে, বিবাদীর পিছনে কাজ করছে অ্যাডভোকেট দিবা, তাছাড়াও আছেন ২ জন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে একজন বশির উল্লাহ।এমনকি গাজীপুর কাজী মার্কেট সংলগ্ন কাজী অফিসের কাজীসহ গোপন একটি চক্র। মুলত: এই অপরাধ চক্রের মুল উদ্দেশ্য হলো বিদেশি বা সরকারি চাকুরীজিবিদের প্রেম-বিবাহের নামে ভয়াবহ বিপদে ফেলে সর্বস্ব লুটে নেয়া।
জানা গেছে, এলাকায় তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ থাকার পরেও কখনো ফেসবুক কখনো রং নাম্বার কখনো মেসেঞ্জারে চ্যাট করে দিনকে দিন প্রতারণা এবং মিথ্যা মামলার হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। এতে করে এলাকার যুব সমাজ ও সাধারণ মানুষ দিনে দিনে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন।প্রতিকার ও নিরাপত্তা বিহীন অবস্থায় বাদী পক্ষ অসহনীয় জীবন যাপন করছেন।
বাদী হালিমা জানান,যে কোন মুহূর্তে সেই চাঁদনী আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের জান ও মালের বিরাট ধরনের ক্ষতি করিতে পারে মর্মে আশংকা করছি। বিবাদীর বর্তমান ব্যবহৃত মোবাইল নং- ০১৯৯৭৬৮৩৭৯৮, ০১৯৭৩৫৭৫৬১৫ এবং ০১৯৯৮৪৯৩৯৭৭ দিয়ে ফোন করে পূর্বের ন্যায় অদ্যাবধি হুমকী ধামকী দিয়ে আসছে।
ওমর ফারুক জানান, আমি দূরে থাকি এবং সরকারি চাকুরী করি।আমি বিবাহিত জানার পরেও চাঁদনীচক্র কিভাবে কোন উদ্দেশ্যে অসামাজিক আচরণে বিয়ের প্রস্তাব দেয় তার সকল মতলব আমরা স্পষ্ট বুঝি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসীরা জানান, চাঁদনী আগের স্বামী ইসরাফিলের সাথেও একই ঘটনায় লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।উক্ত বাদীর ঠিকানা — মোসাঃ হালিমা আক্তার (২২), পিতা-মোঃ শহীদুল্লাহ, সাং-উত্তর ছায়াবিথী, ওয়ার্ড নং-২৮, বাসা নং-৮৮/১, ব্লক-ই, থানা-সদর, মহানগর গাজীপুর।
খবর নিয়ে আরও জানা যায়, উক্ত প্রতারক চক্রের নাম ও ঠিকানা। তারা হচ্ছেন — (১) মোসা: চাঁদনী আক্তার, পিতা– আব্দুস সালাম(২) মিনারা পারভীন, স্বামী- আঃ ছালাম (৩) শিল্পি আক্তার, পিতা- আঃ ছালাম(৪) সোনিয়া, স্বামী – আলম (৫) মনোয়ারা বেগম, স্বামী– মৃত লিয়াকত হোসেন, সর্ব সাং যোগীতলা, থানা- সদর মেট্রো, গাজীপুর মহানগর, গাজীপুর।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অভিযোগ সংক্রান্ত ব্যাবস্থা নেয়ার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানায় একাধিক বার ফোন করলেও তা কেউ রিসিভ করেননি।