কয়রা প্রতিনিধি: সম্প্রতি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের ডুম্বুর জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ও গজলডোবা বাঁধের পানি ছেড়ে দেয়ায় ভারতীয় আগ্রাসনের কারণে কৃত্রিম বন্যা এবং নদীর পানি বণ্টনের ন্যায্য হিস্যার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে খুলনার কয়রায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (২৪ আগস্ট) সকালে কয়রা উপজেলা সদরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধি মোশাররফ হোসেন রাতুল এর সভাপতিত্বে ও গোলাম রব্বারীর সঞ্চালনায় কয়রা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক বিক্ষোভ শেষে কয়রা তিন রাস্তার মোড়ে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে ছাত্রদের সাথে একাত্মা প্রকাশ করে যোগ দেন উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ মানুষ। কোন সতর্কতা ছাড়া বাঁধ খুলে দেয়া ও বিপদসীমা না আসা পর্যন্ত পানি আটকে রাখার তীব্র প্রতিবাদ জানান তারা।
এসময় বক্তব্য রাখেন , এছাড়া উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব নুরুল আমিন বাবুল ও থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ হাসান যুবদলের সদস্য সচিব মোতাসিম বিল্লাহ, যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ ইউনুছ, যুগ্ম আহ্বায়ক আনারুল ইসলাম ডাবলু, ছাত্রদলের আহ্বায়ক আরিফ বিল্লাহ সবুজ ও সদস্য সচিব মাহমুদ হাসান ও সদস্য ইমরান হোসেন, শিক্ষার্থী ইমদাদুল হকসহ শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক ব্যক্তি ও সাধারণ জনগণ বক্তব্য রাখে।
এসময় উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব নূরুল আমিন বাবুল বলেন, তোমাদের মাঝে আমি স্বাধীন বাংলাদেশের ছাত্রদের দেখতে পারছি। আমাদের সকলকে একসাথে এই প্রতিকূল অবস্থা মোকাবিলা করতে হবে। এর মাঝেও নানান ষড়যন্ত্র হবে এগুলোকেও আমাদের রুখে দিতে হবে। আমরা সবাই যার যার জায়গা থেকে চেষ্টা করে যাবো।
প্রতিবাদ সভায় শিক্ষার্থীরা বলেন, অগ্রিম কোনো বার্তা না দিয়েই ভারত আমাদের পানি দিয়ে মারছে, আমাদের সঙ্গে কেন এই বৈষম্য আচরণ। আমরা এসবের নিরসন চাই। এসব আর হতে দেওয়া যাবে না বলে দাবি করেন শিক্ষার্থীরা। সভায় বক্তারা আরও বলেন, আমার দেশের হিন্দুরা সকলে ভালো আছে নিরাপদে আছে। আমরা বাংলাদেশে যারা আছি তারা বাংলাদেশি হয়ে বসবাস করতে চাই। ব কেউ ভারতের দালালি করবেন না। ভারতীয় পণ্য বয়কটের জন্য বাংলার জনগণের প্রতি আহ্বান জানায়।
বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা ভারত বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। এসময় ‘দিল্লী না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’, ‘আমার পদ্মা আমার তিস্তা, ফেরত চাই দিতে হবে’, ‘কুমিল্লা/নোয়াখালী/ফেনী ডুবলো কেন?, ভারত তুই জবাব দে’, ‘তোমার আমার ঠিকানা, পদ্মা, মেঘনা, যমুনা’, ‘দিল্লীর দাসত্ব, মানিনা মানবো না’, ‘ভারতীয় আগ্রাসন, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’ ইত্যাদি স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা।