রিয়াদ হোসেন,নিজস্ব প্রতিনিধিঃ গত বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) সরকারের মেগা প্রকল্পের আওতায় চালু হয়েছে মেট্রোরেল, যা দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলাচল করছে। চালু হওয়ার একদিন পরেই সেটি সর্ব সাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। গত দুই দিন ধরে দেশের ইলেকট্রনিক মিডিয়া আর সোশ্যাল মিডিয়াজুড়ে ছিলো সেই সংবাদ। উৎসুক জনতারও নজর ছিলো সেদিকে। মেট্রোরেলকে ঘিরে সবথেকে বেশি সরব ছিলো সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ‘ফেসবুক’।
কিন্তু সেই মেট্রোরেলকে পিছনে ফেলে সোশ্যাল মিডিয়া দখল নিলেন ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা শামসুন্নাহার স্মৃতি (পরিমণি)। বেশকিছু দিন আগে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় চলচ্চিত্র নির্মাতা শরিফুল রাজ ও চিত্র নায়িকা পরিমণি৷ সাম্প্রতিক সময়ে এই দম্পতির কোল জুড়ে আলোর মুখ দেখেছে একটি ছেলে সন্তান। তবে বিবাহের দিন থেকে শুরু করে গতরাত শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ১ টার আগ পর্যন্ত সে সংসারে বইছিলো সুখের বন্যা।
কিন্তু গভীর রাতে হঠাৎ একটি ফেসবুক স্টাটাসে এলোমেলো হয়ে গেছে তাদের দাম্পত্য জীবনের সবকিছু। এমনটাই গুঞ্জন শুরু হয়েছে আমজনতা থেকে শুরু করে দেশের প্রতিটি পত্র-পত্রিকা এবং ফেসবুকজুড়ে। কমেন্ট সেকশনজুড়ে বইছে শুভাকাঙ্ক্ষীদের মন্তব্যের বন্যা। রাতে পরিমণি তার ফেসবুক আইডিতে একটি পোষ্ট দিয়েছেন। পোস্টে পরীমনি একাংশে লিখেছেন, ‘হ্যাপি থার্টি ফার্স্ট এভরিওয়ান! আমি আজ রাজকে আমার জীবন থেকে ছুটি দিয়ে দিলাম এবং নিজেকেও মুক্ত করলাম একটা অসুস্থ সম্পর্ক থেকে।’ আরেক অংশে লিখেছেন, ‘জীবনে সুস্থ হয়ে বেঁচে থাকার থেকে জরুরি আর কিছুই নাই।’
এরপর থেকে তার কাছের শুভাকাঙ্ক্ষী, দর্শক, স্রোতাদের মধ্যে বয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। কেউ কেউ পরবর্তী জীবনে পরীর পাশে এসে দাঁড়ানোরও ঘোষনা দিচ্ছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। আবার কেউ তাকে ফোন দিয়ে গভীর সমবেদনা জানাচ্ছেন। কিন্তু হটাৎ দেশের মানুষের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসার বিষয়টি ভিন্নভাবে দেখছেন অনেকে। কেউ কেউ বলছেন, অনেকদিন সিনেমা না করেও পিও ভাবীর আলোচনায় থাকার একটি অন্যতম কৌশল এটি। আবার কেউ কেউ সংসার আরো সুখের করতে রাজকে একটা বার্তা দিলেন পরিমণি এমনটাই মনে করছেন। সবকিছু মিলিয়ে মেট্রোরেল, থার্টি ফার্স্ট নাইটকে পিছনে ফেলে সোশ্যাল মিডিয়া এখন পরীর দখলে, তা আর নতুন করে বলার কিছু নেই।