আব্দুল্লাহ আল মামুনঃ সাতক্ষীরায় এনটিভির প্রয়াত স্টাফ রিপোর্টার সুভাষ চৌধুরীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরনসভা ও ‘সুভাষের সৌরভ’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে শহরের লেকভিউ কনভেনশন সেন্টারে সাতক্ষীরার সাংবাদিক সমাজের উদ্যোগে প্রয়াত সাংবাদিক সুভাষ চৌধুরীর স্মরনসভা অনুষ্ঠিত হয়।এদিন ‘সুভাষের সৌরভ’ বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধান অতিথি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম। স্মরনসভায় প্রয়াত সাংবাদিক সুভাষ চৌধুরীর কর্মময় জীবন নিয়ে স্মৃতি রোমন্থন করেন তার সহধর্মিণী মিনতি চৌধুরী। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবু আহমেদ। সাংবাদিক তানজির কচি সম্পাদিত বইটি সাতক্ষীরাসহ সারাদেশের বইয়ের স্টলগুলো পাওয়া যাবে।স্মরনসভায় বক্তারা বলেন, সুভাষ চৌধুরী ছিলেন সাংবাদিকদের জন্য একটি প্রতিষ্ঠান। কিংবদন্তী এই সাংবাদিক যুগ যুগ ধরে সাংবাদিকদের মাঝেই বেঁচে থাকবেন। তিনি মারা যাবার পর তার ছেলে চন্দন চৌধুরীকে একটি পক্ষ ষড়যন্ত্র করে সাংবাদিকতা থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে। খুব শীঘ্রই তাদের সেই ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেওয়া হবে।
বক্তারা আরও বলেন, সাতক্ষীরার বেশীরভাগ সাংবাদিকের কাছেই সুভাষ চৌধুরী সাংবাদিকতার আদর্শ। জীবদ্দশায় বহু নতুন সাংবাদিকের হাতেখড়ি হয়েছে তার মাধ্যমে। তারা এখন দেশের স্বনামধন্য গনমাধ্যমগুলিতে কাজ করে যাচ্ছেন। আধুনিক সাংবাদিকতায় তার অবদান চিরস্মরনীয় করে রাখতে তার গুরুত্বপূর্ন লেখাগুলো বই আকারে প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
স্মরনসভায় সুভাষ চৌধুরীর কর্মময় জীবন নিয়ে বক্তৃতা করেন, জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আজহার হোসেন, নাগরিক কমিটির আহবায়ক আজাদ হোসেন বেলাল, সমাজসেবক আবুল কালাম বাবলা, নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, আরটিভি প্রতিনিধি রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী, দেশ টিভির প্রতিনিধি শরীফুল্লাহ কায়সার সুমন, মোহনা টিভির সাতক্ষীরা প্রতিনিধি আব্দুল জলিল প্রমুখ।উল্লেখ্য, গত ২০২২ সালের আজকের দিনে (২০ সেপ্টেম্বর) সাংবাদিক সুভাষ চৌধুরী বার্ধক্যজনিত কারনে মৃত্যুবরন করেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি এনটিভির স্টাফ রিপোর্টার ও যুগান্তরের জেলা প্রতিনিধি হিসাবে কর্মরত ছিলেন। জীবদ্দশায় সুভাষ চৌধুরী জীবন্ত ডায়েরি নামে খ্যাত ছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধকালীন সময় থেকে সাংবাদিকতা শুরু করেন। জাতীয় পত্রিকা দৈনিক বাংলা, ভোরের কাগজ, যুগান্তর ও দ্যা সান পত্রিকায় দীর্ঘদিন কর্মরত ছিলেন কিংবদন্তী এই সাংবাদিক। এছাড়া ২০০৩ সালে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভি প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে আমৃত্যু তিনি পেশাগত দায়িত্ব পালন করে গেছেন।