স্টাফ রিপোর্টার: সুনামগঞ্জের মুজিব পার্কে তরুণ-তরুণীকে মারধরের ঘটনায় ধরাছোয়ার বাইরে রয়েছে দুই আসামী। জানা যায় গত ১০ই জুন সোমবার বিকালে সুনামগঞ্জ পৌরসভার মল্লিকপুরস্থ মুজিবপার্কে বসে গল্প করছিলেন তরুণ-তরুণী। এমন সময় কয়েকজন যুবক তাদের পিছন থেকে ভিডিও করে। একপর্যায়ে তাদের মারধর ও গালিগালাজ করে। পরবর্তী সময়ে তাদের ভিডিও ভাইরাল করে দেয়ার হুমকি দিয়ে চাঁদা দাবী করে। ওই ঘটনায় ভিকটিম তরুণ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে সুনামগঞ্জ সদর থানা পুলিশ ২ আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় এবং গনমাধ্যম কর্মী পরিচয় দানকারী আফতাব উদ্দিন স্বেচ্ছায় থানায় আত্বসমর্পণ করেন। এ পর্যন্ত তিন আসামী কারাগারে থাকলেও ধরাছোয়ার বাইরে রয়েছে বাকি ২ আসামী। মামলায় ওই দুই আসামীকে অজ্ঞাত বলে চালিয়ে দেয়া হলেও প্রতিবেদকের কাছে সংগ্রহীত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় ওই দুই আসামী হচ্ছে রুহুল আমিন ও ইমাম হোসেন।
ভিডিও দেখে পরিচয় শনাক্ত করা গেলেও রহস্যজনক কারনে এখানো ধরা ছোয়ার বাইরে রয়েছে তারা। তাদের দ্রæত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবী সচেতন মহলের। তারা জানান, মুজিবপার্কে তরুণ-তরুণীকে মারধরের ঘটনাটি নেক্কারজনক। এ রকম ঘটনায় মানুষ পার্কে ঘুরতে আসলে ভয় পাবে। তাই এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রæত আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। এখনো পর্যন্ত যারা ধরাছোয়ার বাইরে রয়েছেন তাদের দ্রæততম সময়ের মধ্যে গ্রেফতারের দাবী জানাই।
এ ব্যপারে সুনামগঞ্জ অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি একে মিলন আহমদ জানান, মুজিবপার্কের ঘটনায় আফতাব উদ্দিনকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে। সে অনলাইন নিউজ পোর্টাল হাওড়বার্তার স্টাফ রিপোর্টার, সুনামগঞ্জ অনলাইন প্রেসক্লাবের প্রচার-সম্পাদক এবং নিসচা সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সহ-সভাপতির দ্বায়িত্ব পালন করে আসছে। তার মত একজন মানুষ বখাটে হতে পারে না। কেননা তার বিরুদ্ধে পূর্বে কোন বখাটেপনার অভিযোগ নেই। তাকে উদ্দেশ্যপ্রনোদিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবী জানাই। যারা এখনো ধরাছোয়ার বাইরে রয়েছে তাদের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। আশা করি দ্রæততম সময়ের মধ্যে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসবে।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার( মিডিয়া) রাজন কুমার দাশ জানান, মুজিবপার্কের ঘটনায় জড়িত তিনজনকে আটক করা হয়েছে। বাকি দুইজনকে শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।